আঙ্কারা, ১৫ ফেব্রুয়ারি: আমেরিকার নেতিবাচক নীতি ও সিদ্ধান্তের কারেণই গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হচ্ছে না বলে তোপ দাগলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। তিনি বলেন, ‘আমেরিকা ওই অঞ্চলে কয়েকজন শীর্ষ আধিকারিককে পাঠিয়ে সংকটের সমাধান করতে চাইলেও যে ফলাফল প্রত্যাশা করা হচ্ছিল তা মেলেনি। এই পরিস্থিতি সত্ত্বেও আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠা ও যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা চালাচ্ছি, কারণ কোনও বিকল্প উপায় নেই।’ এরদোগান জানান, গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠা পায়নি আমেরিকার নেতিবাচক নীতির কারণেই। এসবই হয়েছে আমেরিকার নেতিবাচক পন্থার কারেণ। মিশর সফর থেকে দেশে ফেরার পথে বিমানে সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার দেন এরদোগান। সেখানে তিনি বলেন, গাজায় সংঘাত শুরুর পর তিনি যে মতামত প্রকাশ করেছিলেন তা এখন গোটা পশ্চিমা বিশ্বে শোনা যাচ্ছে। তিনি জানান, গাজায় হামলা ইসরাইলের ‘বিবেকের অভাব’ কে তুলে ধরে। তাঁর মতে, এই অঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তার সঙ্গে কোনওভাবেই আপোস করা যাবে না। এরদোগান বলেন, ‘এই কান্নার আওয়াজ শুনতে হবে মানবতাকে। ইতিহাস তাদের বিচার করবে যারা ইচ্ছাকৃতভাবে এই মানুষদের হত্যার অনুমতি দিয়েছে। যারা এই গণহত্যার সঙ্গে জড়িত তারা অনেক আগেই দোষী ঘোষিত হয়েছে।’ যারা প্রথম থেকে ইসরাইলকে সমর্থন দিয়ে এসেছে তারা এখন অনুশোচনায় ভুগছে বলেও জানান তুর্কি নেতা। তুরস্ক যে আগের মতোই দীর্ঘস্থায়ী শান্তি চায় তা ফের পুনর্ব্যক্ত করেন এরদোগান। তাঁর কথায়, ‘বিশ্ব একথা অগ্রাহ্য করতে পারে না যে, ১৯৬৭ সালের সীমানা মেনে পূর্ব জেরুসালেমকে রাজধানী বানিয়ে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা পেলেই সব সমস্যার সমাধান হবে।’ ফিলিস্তিনের পাশে থেকে তুরস্ক মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইনের রক্ষকের ভূমিকা নিয়েছে বলে জানান এরদোগান।