কৌশিক সালুই, বীরভূম: কন্যাদায়গ্রস্ত পরিবার হোক বা সম্পত্তি নিয়ে গন্ডগোল, দাম্পত্য কলহ বা দলের কর্মীদের মধ্যে সমস্যা সব কিছুর সমাধান বিধায়কের জনতার দরবারে। বীরভূমের সিউড়ি বিধানসভার বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী তার বিধায়ক এলাকার বাসিন্দাদের নানাবিধ সমস্যার সমাধানের জন্য দরবার করে নিয়মিত সমাধান করে চলেছেন। স্থানীয় বিধায়কের কাছ থেকে হাতেনাতে সমস্যা সমাধানের উপকার পেয়ে যার পরনাই খুশি হাজির মানুষজন।
বিকাশ রায় চৌধুরী বর্তমানে তিনি বীরভূমের সিউড়ির বিধানসভার বিধায়ক। বিকাশবাবুর নাম এবং এলাকার উন্নয়নের কাজ দুটো যেন সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমানে। এলাকার বিকাশ অর্থাৎ এলাকার উন্নয়ন তার কাছে নতুন কিছু নয়। জেলা পরিষদের সভাধিপতি হিসেবে তিন তিনবার কেন্দ্র সরকারের পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় পঞ্চায়েত সশক্তিকরণ পুরস্কার পেয়েছেন রাজ্যের সেরা জেলা পরিষদ হিসাব। বিধায়ক হয়েও সেই উন্নয়ন এবং মানুষের পাশে থাকার নমুনা বর্তমানে অব্যাহত। বিধানসভা নির্বাচন ফলাফল প্রকাশের পর থেকে বিগত দু’মাস থেকে নিয়মিত সিউড়ির তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ের শনিবার ও রবিবার দুদিন সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত হাজির থাকছেন। শুধুমাত্র তার বিধায়ক এলাকার মানুষজনদের নানাবিধ সমস্যা সমাধানের জন্য। কন্যাদায়গ্রস্ত পরিবার সাহায্যের জন্য হাজির হচ্ছেন বিধায়কের কাছে। স্বামীর অত্যাচার থেকে বাঁচতে গৃহবধূ সুবিধার চেয়ে বিধায়কের কাছে হাজির হচ্ছেন। চিকিৎসা সংক্রান্ত সাহায্য হোক বা কারো সম্পত্তি নিয়ে অভিযোগ সবকিছু শোনা মাত্রই বিকাশবাবু তার নিজের মতো করে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগী হচ্ছেন। রাজনগর থেকে সাহাপুর, আলুন্দা থেকে করিধ্যা সব জায়গা থেকেই মানুষজন আসছেন বিধায়কের দরবারে। ইতিমধ্যে বিকাশ রায় চৌধুরী তার বিধায়ক এলাকার উন্নয়নের প্রাপ্ত প্রথম বরাদ্দ থেকে অ্যাম্বুলেন্স শববাহী গাড়ি বরাদ্দ করেছেন। বিকাশ রায় চৌধুরী বলেন, বিগত বিধানসভা নির্বাচনে আমাকে বহিরাগত আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যিনি আমাকে সেই সময়ই বহিরাগত আখ্যা দিয়েছিল সেই তথাকথিত ভূমিপুত্র এখন তার জন্মভিটেতেই নেই। আর আমি দিনরাত এক করে সেই সভাধিপতি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই এলাকার মানুষের পাশে থেকে নিরন্তর উন্নয়ন করে চলেছি এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে সমস্ত পরিষেবা সাধারণ মানুষের জন্য আছে তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি। মানুষের পাশে থেকে উন্নয়ন করার মানসিকতা থাকলে ভূমিপুত্র হওয়ার দরকার নেই শুধু মনের ইচ্ছাশক্তি থাকলেই করা যায়। যেটা আমি নিয়মিত প্রমাণ দিয়ে চলেছি”।