পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে রাজ্য সরকারের প্রকল্পের আড়ালে প্রতারণা! বালিয়া জেলায় গণবিবাহের ঘটনায় প্রতারণার খবর সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসল যোগী সরকার। ২৪০ জন অযোগ্য ব্যক্তি ‘মুখ্যমন্ত্রী সমুহিক বিবাহ যোজনা’-এর সুবিধা পেতে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। ২৫ জানুয়ারি মানিয়ার ইন্টার কলেজে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রায় ৫৩৭টি বিয়ে হয়েছিল, যার মধ্যে ২৪০টি অযোগ্য। কারণ তারা পূর্বেই বিবাহিত ছিল, নতুন করে আবার বিয়ে সেরে ফেলে।
পুলিশ এখনও পর্যন্ত সমাজকল্যাণ বিভাগের কর্মকর্তাসহ ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে।
প্রাক্তন আইপিএস অফিসার, রাজ্যের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী অসীম অরুণ জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সাধারণ গণবিবাহ প্রকল্পের অধীনে কমপক্ষে ১০০টি বিবাহ সম্পন্ন হতে পারে, তার বেশি নয়। বিয়ের পর নব-দম্পতিকে একটি সার্টিফিকেট ও ছবি প্রদানের মাধ্যমে বিয়ের রেজিস্ট্রেশন অনুষ্ঠানস্থলেই করা হয়। যদি কোনও মন্ত্রী বা অন্য কোনও বিশেষ অতিথি এই জাতীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ব্যক্তিগতভাবে সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন, তবেই সেখানে ১০০টি বিয়ের অনুমতি দেওয়া হয়। মন্ত্রী কড়া ভাষায় জানিয়েছেন, এবার থেকে বর ও কনের ছবি তোলা এবং সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্নের অনুষ্ঠান কম্পিউটারে রেকর্ড করা হবে। সেই সঙ্গে প্রত্যেক নববিবাহিত দম্পতির ডিবিটি (ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার) ও আধারের সঙ্গে লিঙ্ক করা হবে।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, গণবিবাহের অনিয়ম রুখতে স্থানীয় স্তরে গ্রাম সচিব ও লেখপালকে নজরদারি চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হবে। তারাই দেখবে এই স্কিম গ্রহণকারী কোনও পুরুষ বা মহিলা ইতিমধ্যেই বিবাহিত কিনা। বর্তমান নিয়ম অনুসারে, যাচাইয়ের দায়িত্ব ব্লক স্তরের আধিকারিকদের।
সমাজকল্যাণ দফতরের ডিরেক্টর কুমার প্রশান্ত জানিয়েছেন, গণবিবাহ প্রকল্পের অধীনে প্রতি বছর হাজার হাজার দম্পতির বিয়ে হয়, এতদিন কোনও অনিয়মের খবর পাওয়া যায়নি৷ কিন্তু বালিয়ায় এই ধরনের অভিযোগ পাওয়ার পর, বিভাগ কঠোর তদন্ত শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত, বালিয়ায় গণবিবাহ কর্মসূচিতে অনিয়মের বিষয়টি ৯ ফেব্রুয়ারি উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের সময় উত্থাপন করেন সমাজবাদী পার্টির লালজি ভার্মা। এর জবাবে, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী অসীম অরুণ সংসদে বলেছিলেন, যে কোনও পরিবারের মেয়ের বিয়ে যেন আড়ম্বরপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় তা নিশ্চিত করাই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সব দিকেই কড়া নজর রেখেছেন।