পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: গাজায় হামলাা বন্ধ ও স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত ইসরাইলের সঙ্গে কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরি হবে না বলে আমেরিকাকে স্পষ্ট জানিয়ে দিল সউদি আরব। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সউদি আরব ও ইসরাইল আগ্রহী বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন। এরপরই এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের বিষয়ে নিজেদের দৃঢ় অবস্থানের কথা ওয়াশিংটনকে স্পষ্ট ভাষায় জানাল রিয়াধ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পূর্ব জেরুসালেমসহ ১৯৬৭ সালের সীমান্ত অনুযায়ী ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। এবং গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের ‘আগ্রাসন’ বন্ধ করতে হবে। ২০২০ সালে ইসরাইলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ও বাহরাইনের সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারে সউদি আরব নীরব সম্মতি জানিয়েছিল। এর পর থেকে সউদি আরবের সঙ্গে ইসরাইলের সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারে আলোচনা শুরু হয়। তবে এখন পরিস্থিতি অন্য দিকে বাঁক নিয়েছে। আমেরিকার পরিকল্পনাগুলিকে সরিয়ে রেখে গাজায় শান্তি আনার লক্ষ্য স্থির করেছে সউদি আরব। সোমবার মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গাজা ইস্যুতে সউদি যুবরাজ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন। ব্লিঙ্কেন জানান, সউদি যুবরাজ ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে তাঁর আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তবে তিনি চান গাজায় যুদ্ধের অবসান হোক। মার্কিন বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট করে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়টি নিয়ে যুবরাজ সউদি আরবের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তবে গাজায় সংঘাত রুখতে ও একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গড়ার জন্য স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য প্রক্রিয়া নির্ধারণের কথা বলেছেন যুবরাজ সালমান।’ উল্লেখ্য, সউদি আরব কখনই ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়নি। ২০২০ সালে আমেরিকার নেতৃত্বে হওয়া আব্রাহাম চুক্তিতেও যুক্ত হয়নি দেশটি। এ চুক্তির আওতায় মরক্কোসহ উপসাগরীয় প্রতিবেশী দেশ বাহরাইন ও আমিরশাহী ইসরাইলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপন করে। সউদি আরবকেও একই চুক্তিতে যুক্ত করতে মার্কিন সরকার জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তবে গাজায় ইসরাইলি হামলা শুরুর পর থেকে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি তুলেছে সউদি আরব।