দেবশ্রী মজুমদার, বোলপুরঃ ৩ বছরের শিশুর দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। দু-দিন নিখোঁজ থাকার তার দেহ উদ্ধার হওয়ার পর দোষীদের গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবীতে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিনিকেতন থানার পারুলডাঙা গ্রামে। গ্রামবাসীদের দাবী মেনে পুলিশ কুকুর আনা হলেও তদন্তে কোন অগ্রগতি হয়নি বলে দাবি গ্রামবাসীদের।
স্থানীয় সুত্রে খবর, গত ২৩ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে নিখোঁজ ছিল শান্তিনিকেতন থানার পারুলডাঙা গ্রামের পল্লবী মুর্মু (৩)। গোটা গ্রামে তাকে খুঁজে না পেয়ে গ্রামবাসীরা গ্রামের সমস্ত পুকুরে জাল ফেলে তল্লাশি চালায়। সেখানেও কিছু না মেলায় শান্তিনিকেতন থানায় মিসিং ডায়েরি করে পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার তদন্তও শুরু করে পুলিশ।
অবশেষে শনিবার সন্ধ্যাবেলায় স্থানীয় এক কৃষকের মাধ্যমে খবর পাওয়া যায় যে গ্রামের বাইরে একটি পুকুর ও চাষ জমির সংলগ্ন এলাকায় ওই শিশুর মৃতদেহ ভাসছে। পরিবারের লোকজন দিয়ে দেখে তাদের বাড়ির বাচ্চাটির মৃতদেহ সনাক্ত করেন। খবর পেয়ে ছুটে আসে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ।
মৃতের পরিবার ও গ্রামবাসীরা পুলিশ কুকুর এনে তদন্ত করার দাবী তোলে। সেই মতো শনিবার রাত্রি দশটা নাগাদ পারুলডাঙা গ্রামে পুলিশ কুকুর নিয়ে আসা হয়। এসে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
যদিও গ্রামে পুলিশ কুকুর এসে তদন্তে কোন সাহায্য করতে পারেনি বলে দাবি করে গ্রামবাসীরা। কারণ পুলিশ কুকুরটি মৃতদেহ স্থল থেকে সরাসরি তার বাড়ির দিকে চলে যায়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ যে গ্রামবাসীদের সান্ত্বনা দিতেই পুলিশ মৃতদেহ কাছে পুলিশ কুকুর নিয়ে এসেছিল। এই অভিযোগ করে দীর্ঘক্ষণ বোলপুরের এসডিপিও অভিষেক রায়কে দাঁড় করিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে গ্রামবাসীরা।
জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান জলা জায়গায় পুলিশ কুকুর নিয়ে তদন্তে কোন লাভ প্রায়ই হয় না। কারণ গন্ধ পাওয়া যায় না। ফলে কুকুরকে ফিরে আসতে হয়। সম্ভবত এখানেও তাই হয়েছে।
পরে গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে ও দোষীদের অবিলম্বে খুঁজে বের করে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থার আশ্বাস দেবার পর শনিবার গভীর রাতে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায় পুলিশ।
জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী জানান, ইতিমধ্যেই আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। এখনো পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয় নি। তবে দোষীদের শীঘ্রই চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হবে।
ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পেলে তদন্তে গতি আসবে।