পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: সংখ্যালঘু খাতে অর্থ বরাদ্দ হলেও তার সবটা ব্যয় করা হয়নি। যা নিয়ে সংখ্যালঘু উন্নয়নে সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
তেলেঙ্গানা সরকার সংখ্যালঘুদের জন্য ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে শিক্ষা খাতে ৩০৫ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছিল। কিন্তু তার ৪৮ শতাংশই খরচ করা যায়নি। অর্থাৎ রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের তরফে বরাদ্দ করা এই ৩০৫ কোটি ৮০ লক্ষ টাকার মধ্যে ১৭৪ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা উদ্বৃত্ত থেকে গিয়েছে। সেগুলো খরচ করা যায়নি। যা নিয়ে অনেকে বলছেন, সংখ্যালঘু উন্নয়নে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের যে অনীহা রয়েছে তা এই বাজেট উদ্বৃত্ত থাকা থেকেই স্পষ্ট। তথ্য জানার অধিকার আইনে (আরটিআই) করা মামলা থেকে এই তথ্য জানা গিয়েছে। সমাজকর্মী এম এ আকরাম এই আরটিআই’টি করেছিলেন। যা থেকে স্পষ্ট পড়ুয়াদের রিইমবার্সমেন্ট স্কিম (টিউশন ফি পরিশোধ ও টিউশন ফি প্রদান সংক্রান্ত)-এর বেশিরভাগ ফান্ডই অব্যবহৃত থেকে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে যে ফান্ড দেওয়া হয়েছে তার অর্ধেকের কিছু বেশি অর্থ খরচই করা যায়নি। এই প্রসঙ্গে আকরাম বলেন, এখন আরও অনেক বেশি পড়ুয়া ও অভিভাবকরা উচ্চশিক্ষায় আগ্রহ দেখাচ্ছে। যার অর্থ শিক্ষাক্ষেত্রে আরও বেশি ফান্ড প্রয়োজন। কিন্তু, পুরো ফান্ড খরচ না করার এই প্রবণতা গত ককে বছর ধরে একই রয়ে গিয়েছে। তাঁর আশা, এবার হয়তো এই প্রবণতার পরিবর্তন হবে। একই অবস্থা ‘চিফ মিনিস্টারস ওভারসিজ স্কলারশিপ স্কিম’-এর ক্ষেত্রে। এই স্কিমে বিদেশে পড়তে যাওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের এক পিঠের বিমান ভাড়া ও ফি দেওয়া হয় সরকারের তরফে। সেই স্কিমেও বরাদ্দ ১১৮ কোটি টাকার মধ্যে ৩৫ কোটি টাকা খরচ করা যায়নি। আগের সরকারও ব্যাঙ্ক-ভিত্তিক ভরতুকির মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে অনেক বড় বড় কথা বলেছিল। তেলেঙ্গানা স্টেট মাইনোরিটিজ ফিনান্স কর্পোরেশন (টিএসএমএফসি)-এর মাধ্যমে এই স্কিম পরিচালিত হতো। এই স্কিমের জন্য ১৫০ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছিল। ১১২ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছিল। ফলে এক্ষেত্রে ফান্ড পুরো খরচ করা সম্ভব হয়নি। আরটিআই তথ্য বলছে, অন্যান্য কল্যাণমূলক স্কিমের জন্য টিএসএমএফসি-কে ১২০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে মাত্র ৮৫ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছিল।