পুবের কলম প্রতিবেদক: বাংলা বিহার সীমান্তে কাটিহার এলাকায় রাহুল গান্ধির ন্যায় যাত্রার সময় আচমকাই তাঁর গাড়ির উইন্ড স্ক্রিন ভেঙ্গে যায়। এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এই ঘটনার জন্য সরাসরি নাম না করেও রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের দিকেই আঙুল তুলেছেন। তাঁর মন্তব্য, ‘বুঝে নিন কে ভেঙেছেন, যাঁরা ভাঙার, তাঁরাই ভেঙেছেন।’
অধীরের এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি বলেন, বিজেপিকে তিনি আক্রমণ করেন দিল্লিতে আর কলকাতায় বা পশ্চিমবঙ্গে এসে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন। এটা আজ বহুদিন ধরে চলছে। মাসের পর মাস কুৎসা, অপপ্রচার আমাদের দিদির নামে করে চলেছেন। আমরা ধৈর্য্য সহকারে সহ্য করেছি যেহেতু ইন্ডিয়া অ্যালায়েন্স ছিল। আমাদের দলনেত্রী এখন বলে দিয়েছেন যে বাংলায় কোনও জোট হবে না। আপনি বিজেপির বিরুদ্ধে দিল্লিতে বলবেন আর এখানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বলবেন, এটা চলতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, কংগ্রেস এখন শূন্যে দাঁড়িয়ে আছে। সেটা নিয়ে তাঁরা ভাববেন। কিভাবে কি ভাল করা যায়। কই আমরা তো এখানে দাঁড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গের বঞ্চনার কথা অধীর বাবুকে বলতে শুনিনি। বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্বও কখনও বাংলার বঞ্চনা নিয়ে কথা বলেনি। আর কংগ্রেসও বলছে না।
একইসঙ্গে রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রায় মহম্মদ সেলিমদের যাওয়ার প্রসঙ্গে শশী পাঁজা বলেন, যেতেই পারেন। তবে, বর্তমানে বিধানসভায় শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস আর বিজেপির নির্বাচিত প্রতিনিধিরা রয়েছেন। সিপিএম বা বামেদের কেউ নেই। তাঁরা শূন্য। এই শূণ্যে গিয়ে কেন দাঁড়িয়েছে, সেটা নিয়ে তাঁরা আলোচনা করুন। বামেদের এটাও বোঝাতে হবে প্রত্যেক নির্বাচনে তাঁদের ভোট কিভাবে বিজেপিতে ট্রান্সফার হয়েছে? তারা তৃণমূল কংগ্রেসকে কমন শত্রু মনে করতে গিয়ে শূণ্যে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কংগ্রেসকে নিয়ে তারা হয়তো একটা অংক ভাবার চেষ্টা করছে। আইএসএফকে নিয়ে ভোট করার অভিসন্ধি করছেন। করতেই পারেন। কিন্তু ইন্ডিয়া অ্যালায়েন্সের বৈঠকে আমরা সবাই রয়েছি। সেখানে তাঁরা কোনও দায়িত্ব নেন না। তাদের মধ্যে দ্বিচারিতা রয়েছে। কেরলে তাঁরা এই কংগ্রেসের সঙ্গেই লড়াই করছেন আবার পশ্চিমবঙ্গে বন্ধুত্ব করছেন।