বিশেষ প্রতিবেদন: যুদ্ধের মধ্যে জন্ম। গাজায় এখন এমন হাজারো শিশু রয়েছে। এদের মধ্যে অনেকে আবার জন্ম থেকেই এতিম। বুকে তুলে আলিঙ্গনের জন্য এদের কাছে পিতা-মাতা কেউই নেই। ইসরাইলের বিমান হামলায় মারা যান হান্না নামের এক ফিলিস্তিনি মা। সিজারিয়ান পদ্ধতিতে একটি কন্যা সন্তান হয়েছিল তার। তার এই সন্তানকে এখন গাজার কেন্দ্রস্থলে দিয়ের আল বালাহতে অবস্থিত আল-আকসা হাসপাতালে রাখা হয়েছে। শিশুদের দেখভালের দায়িত্ব নেওয়া নার্স ওয়ারদা বলেন, ‘এই সন্তানটিকে আমরা হান্না আবু আমশা নামে ডাকি।’ চলমান যুদ্ধে গাজার বহু শিশু এভাবে পিতামাতাকে হারিয়েছে। গাজায় মোট জনসংখ্যা ২৩ লক্ষ। তার প্রায় অর্ধেকই শিশু। নিমর্ম এই যুদ্ধে এসব শিশুর জীবন তছনছ হয়ে গেছে। ইসরাইলের হামলায় ১৮ বছরের কম বয়সী কমপক্ষে ১১,৫০০জন নিহত হয়েছে এই যুদ্ধে। ইউরো মেডিটারেনিয়ান হিউম্যান রাইটস মনিটর বলেছে, কমপক্ষে ২৪ হাজার শিশু তার পিতামাতার একজনকে অথবা উভয়কেই হারিয়েছে। এদের লালনপালনের দায়িত্ব কে নেবে, তা নিয়ে চিন্তায় থাকতে হচ্ছে চিকিৎসক ও উদ্ধারকারীদের। গাজার নার্স ওয়ারদা বলেন, হান্না আবু আমশার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছি আমরা। কোনও আত্মীয়ের খোঁজ মেলেনি।’ এরকমই গাজার অলিতে-গলিতে আরও অনেক শিশু এতিম হয়ে গিয়েছে। ইসরাইল ও তার পশ্চিমা মিত্রদের গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ হল ফিলিস্তিনের হাজার হাজার এতিম শিশু। রাষ্ট্রসংঘের হিসাবে, কমপক্ষে ১৭ লক্ষ মানুষ গাজায় বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ইউনিসেফ বলেছে, গাজার ১৯ হাজার শিশুকে নিয়ে তাদের উদ্বেগ বেশি। কারণ এসব শিশু এতিম। তাদেরকে দেখভালের জন্য আজ কেউ নেই।