কৌশিক সালুই বীরভূমঃ পুরসভা এবং জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দোষারোপ পাল্টা দোষারোপে নাভিশ্বাস উঠেছিল জাতীয় সড়ক দিয়ে পারাপারকারী মানুষজনদের। দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে রানীগঞ্জ মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের বীরভূমের দুবরাজপুর শহরের রাস্তা। অবশেষে উৎসব মরসুমের আগেই প্রাথমিক মেরামতির আশ্বস মিলেছে। অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট রাস্তার বাইপাস তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় জমির তথ্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের হাতে দ্রুত তুলে দেওয়া হবে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর এর পক্ষ থেকে।
দুবরাজপুর শহরের মামা ভাগ্নে পাহাড় সংলগ্ন পোদ্দার বাধ থেকে থেকে পাওয়ার হাউস মোড় পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট অংশটি রানীগঞ্জ মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের অন্তর্ভুক্ত। কোথাও হাঁটু সমান খাল। বর্ষার জলে জাতীয় সড়কের ওই অংশটি কোথাও পুকুর বা ডোবাতে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন ওই রাস্তায় পারাপার করা যানবাহন এর যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। সাইকেল বাইক নিয়ে পারাপার করতে গিয়ে অনেকেই পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছেন।
দীর্ঘ টালবাহানার পর পুজোর আগের মধ্যে দুবরাজপুর শহরের সংশ্লিষ্ট জাতীয় সড়কের অংশটি মেরামতের আশ্বাস দিয়েছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। এছাড়া শহরের মধ্যে স্বল্পপরিসর রাস্তায় জাতীয় সড়ক হওয়ায় সমস্যা দীর্ঘদিনের। বছর দুয়েক আগে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ বাইপাস রাস্তা তৈরির জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে জায়গা চেয়ে আবেদন করে। ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর সাতকেন্দুলি মোড় থেকে কোল্ড স্টোর পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তার জন্য জমি চিহ্নিত করনের জন্য কাজ করছে।
আগামী সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে সেই কাজ শেষ করে সংশ্লিষ্ট নথি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তারপর তুমি অধিগ্রহণ পর্ব শুরু হবে। জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়ে গেলে বাইপাস রাস্তা তৈরি করা হবে। দুবরাজপুর পৌরসভার পৌর প্রশাসক পীযূষ পান্ডে বলেন,” জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ পুজোর আগেই সংশ্লিষ্ট রাস্তাটি মেরামত করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে”। জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক শুভ্রজ্যোতি ঘোষ বলেন,” দুবরাজপুর শহরের বাইপাস রাস্তা তৈরির জন্য জমি চিহ্নিতকরণের কাজ কার্যত শেষ পর্যায়ে। দিন কয়েকের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট নথি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হবে”। রানীগঞ্জ মোর গ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ভারপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার জয়ন্ত গড়াই বলেন,” বাইপাস তৈরি জন্য প্রয়োজনীয় জায়গার কাগজপত্র এখনো পর্যন্ত আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। সেটা হাতে পাওয়া গেলে দ্রুত জমি অধিগ্রহণ করে পরবর্তী সময়ে বাইপাস তৈরির কাজ শুরু করা হবে”।