পুবের কলম প্রতিবেদক: সোমবার রাজ্যের পাঁচ আসন সহ ১৫টি রাজ্যের রাজ্যসভার ৫৬টি আসনে ভোট ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। এই ৫৬টি আসনের বর্তমান সাংসদের মধ্যে ৫০ জনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২ এপ্রিল। বাকি ৬ জনের মেয়াদ শেষ হবে ৩ এপ্রিল। নির্বাচন কমিশন এই প্রসঙ্গে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, শূন্য হতে চলা আসনগুলির জন্য ভোট গ্রহণ করা হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ১৬ ফেব্রুয়ারি জমা পড়া মনোনয়ন পরীক্ষা করে দেখা হবে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন ২০ ফেব্রুয়ারি। ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট গণনা ও ফলপ্রকাশ করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২ এপ্রিলে মেয়াদ শেষ হবে রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ নাদিমুল হক, আবিররঞ্জন বিশ্বাস, শুভাশিস চক্রবর্তী ও শান্তনু সেনের। এছাড়া বাংলা থেকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত কংগ্রেস সদস্য অভিষেক মনু সিংভিরও মেয়াদ শেষ হবে সেদিন। এই সবকটি আসনেই ভোটগ্রহণ হবে ২৭ তারিখ। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, চারটি আসনের জন্য ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়ায় প্রার্থী ঘোষণা করা হতে পারে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিরিখে তৃণমূলের ৪ প্রার্থীর জয় একরকম নিশ্চিত। পঞ্চম আসনটি নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা রয়েছে। গতবার ওই আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থনে বিজয়ী হন অভিষেক মনু সিংভি। এবার প্রধান বিরোধী দল বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা বাড়ায় তারা পঞ্চম আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিধানসভা সূত্রে খবর, বর্তমানে খাতায়কলমে তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ২১৬। এছাড়া অন্য দল থেকে আসা বিধায়ক মিলিয়ে সেই সংখ্যা ২২৫। সেক্ষেত্রে বিধায়কের সংখ্যার নিরিখে চারটি আসনে তৃণমূল প্রার্থীর জয় নিশ্চিত। রাজ্যে বিজেপির যেহেতু ৬৭জন বিধায়ক রয়েছে তাই একটি আসন বিজেপি প্রার্থী দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই প্রশ্ন উঠছে অভিষেক মনু সিংভিকে নিয়ে। গতবার কংগ্রেসের প্রার্থী অভিষেক মনু সিংভিকে সমর্থন জানিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে, বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেস ফের তাঁকে প্রার্থী করবে কিনা বা সেক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেস কি অবস্থান নেবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
এদিকে, লোকসভা ভোটের আসন ভাগাভাগি নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি প্রদেশ কংগ্রেস। তৃণমূল ইতিমধ্যেই দুটি আসন ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছে। আসন ভাগাভাগি নিয়ে প্রদেশ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে রাজ্যে এসেছিল এআইসিসির প্রতিনিধি দল। বঙ্গ কংগ্রেসের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাজ্যে কংগ্রেসকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে শাসকদলের হাত ধরলে চলবে না। তাই লোকসভা ভোটে যদি তৃণমূলের হাত না ধরে কংগ্রেস তবে, তার প্রভাব রাজ্যসভার ভোটে পড়তে পারে। যদিও, অভিষেক মনু সিংভির সঙ্গে তৃণমূলের সস্পর্ক ভাল। আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি তৃণমূলের হয়ে মামলাও লড়েন। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠাতে গররাজি হবে না দল। আবার দলের একাংশের মতে, অন্য দলের প্রার্থীকে সমর্থন না করে নিজের প্রার্থী সেখানে দেওয়া উচিত।