পুবের কলম প্রতিবেদক: আর মাত্র হাতে গোনা দুদিন। তারপরেই শেষ হয়ে যাবে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। তার আগে সপ্তাহের প্রথম দিনেও উল্লেখযোগ্য ভিড় নজরে পড়ল কলকাতা বইমেলায়। বিভিন্ন স্টলের সামনে চোখে পড়ল লম্বা লাইন। শীতের আমেজ গায়ে মেখে অনেকেই ব্যস্ত বইমেলায় প্রকাশিত একাধিক নতুন বই খুঁজে নিতে। আবার অনেকেই ভিড় জমিয়েছেন পুরনো বইয়ের স্টলে। পুরনো বইয়ের দুর্লভ সম্ভার নিজেদের সংগ্রহে করে নেওয়ার আগ্রহে দোকানের বাইরে লাইন করেন বহু ক্রেতা। কোনো দোকানে পাওয়া যাচ্ছে চল্লিশ বছরের পুরনো বই, তো কোনো দোকানে বিক্রি হচ্ছে পঞ্চাশ থেকে একশো বছরের পুরনো বই। এরকমই একটি পুরনো বইয়ের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে গীতাঞ্জলির প্রথম সংস্করণ।
শুধু তাই নয়, পাওয়া যাচ্ছে কেমব্রিজ এনসাইক্লোপিডিয়া, গিনিজ এনসাইক্লোপিডিয়ার মত দুর্লভ বই। মহাত্মা গান্ধী, ওশোর লেখা বিভিন্ন দুর্লভ বই, দি বুক অফ পপুলার সায়েন্স, হিস্ট্রি অফ দি ওয়ার্ল্ড, কমপ্লিট ওয়ার্কস অফ মাইকেল এঞ্জেল সহ একাধিক বইয়ের সম্ভার নিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। এছাড়াও রয়েছে বাংলা ও সংস্কৃত সাহিত্যের কিছু দুর্লভ সংগ্রহ। বইয়ের তালিকায় রয়েছে অর্ধ শতাব্দী পুরনো খবরের কাগজ এবং পত্র-পত্রিকা, দুর্লভ ছবির বই ও আরও অনেক কিছু। সবুজপত্র প্রকাশনা, বুলবুল প্রকাশনা, এ মল্লিক বুক স্টল, ক্লাসিক বুক স্টোরের মত দোকানে বই কিনতে যাওয়া ক্রেতাদের মতে, ‘পুরনো বইয়ের প্রতি একটা আলাদা আকর্ষণ কাজ করে। একটা আলাদা নস্টালজিয়া কাজ করে।’
অন্যদিকে, বিক্রেতাদের মতে এইসমস্ত পুরনো বই সংগ্রহে রাখা এবং সেগুলোকে ক্রেতাদের হাতে সুরক্ষিত রাখা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। বুলবুল পাবলিশিং-এর মালিকের মতে, সব বই-ই দুর্লভ। বইগুলো বাঁচিয়ে রাখতে যথেষ্ট খরচ হয়। অনেকেই এটা বুঝতে চান না। সবুজপত্র প্রকাশনার পক্ষ থেকে তাদের সংগ্রহে থাকা গীতাঞ্জলির প্রথম সংস্করণ দেখিয়ে বলা হয়, ভাবুন এই বই কত মূল্যবান। এখানে আরো অনেক পুরনো বই আছে। দুর্লভ পুস্তকের মাহাত্ম্য না বুঝলে তার কোনও কার্যকারিতা নেই।