পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: কোটায় ছাত্রমৃত্যু অব্যাহত। ফের হোস্টেল থেকে পরীক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার। নয়া বছরে এই নিয়ে দ্বিতীয় আত্মহত্যার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। পরীক্ষার্থীর দেহের পাশে সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে। যাতে লেখা ছিল- “আমি ব্যর্থ”। অনুমান, বাবা-মা’র উদ্দেশ্যে এই চিঠি লিখেছে ওই ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষার্থী। নতুন বছরে এক সপ্তাহের ব্যবধানে এটি দ্বিতীয় ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে খবর, ৩১ জানুয়ারি পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষার দু’দিন আগে আজ শিক্ষা নগরী এলাকার এক ঘর থেকে ১৮ বছরের নিহারিকার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। বাবা, মায়ের উদ্দেশে চিঠিতে লেখা, “আমার পক্ষে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া সম্ভব না। তাই আত্মহত্যা করছি। আমি ব্যর্থ। এটাই শেষ উপায়। ক্ষমা করে দিও।”
উল্লেখ্য, এর আগে ২৩ জানুয়ারি কোটায় উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা এক নিট পরীক্ষার্থী আত্মঘাতী হন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৫ সালে ১৮ জন, ২০১৬ সালে ১৭, ২০১৭ সালে ৭, ২০১৮ সালে ২০, ২০১৯ সালে ১৮, ২০২২ সালে ১৫, ২০২৩ সালে ২৯ জন পড়ুয়া আত্মঘাতী হন। মাঝে লকডাউনের জন্য ২০২০ সালে ও ২০২১ সালে বন্ধ ছিল কোটার কোচিং সেন্টার এবং হস্টেল। যার জন্য কোনও আত্মহত্যার রেকর্ড নেই। নয়া বছরে এখনও পর্যন্ত ২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।