পুবের কলম প্রতিবেদক: মানুষের শরীরে প্রকোপ ঘটছে নিত্য নতুন রোগ। আর রোগ চিহ্নিতকরণে প্রয়োজন সঠিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এই কাজে গ্রামের মানুষদের ছুটতে হয় শহরে। শহরের পাশাপাশি গ্রামে মেডিক্যাল-টেকনিশিয়ানের সংখ্যা বাড়াতে নয়া কোর্স চালু করার উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। এদিকে সেই কোর্স চালু করতে কারিগরি শিক্ষা দফতর এবং স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে। আলোচনা সম্পন্ন হওয়ার পরই কোর্স শুরুর রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হবে।
শনিবার পুবের কলমকে বলেন, কারিগরি শিক্ষা দফতরের আধিকারিক সায়েকা মোনাজ্জা। তিনি বলেন, এই কোর্স চালু হলে বহু পড়ুয়ার সুবিধা হবে। তবে কোর্স হবে শর্ট টার্ম। কবে থেকে এই কোর্স চালু হবে, এই প্রসঙ্গে কারিগরি শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, দ্রুত চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হবে।
বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে (ভিটিসি) চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য এবার স্বল্প সময়ের বিশেষ ধরনের কোর্স চালুর সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। কোর্সগুলির জন্য হাতে-কলমে শিক্ষা বা প্রাকটিক্যাল প্রশিক্ষণ নিতে হবে। কারিগরি শিক্ষাদফতর অনুমোদিত ভিটিসি কোর্সগুলিতে স্বাভাবিকভাবে এই ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকাঠামো নেই। তার জন্য হাসপাতাল-মেডিকেল ল্যাব ও ক্লিনিকের সঙ্গে চুক্তি করে কোর্স চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিভাবে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে, সে ব্যাপারে সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কারিগরি শিক্ষাদফতর।
চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য ভিটিসি-গুলিতে মোট ১৫টি কোর্স চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে যেমন এক্স রে, ইসিজি, রক্ত সহ বিভিন্ন ধরনের মেডিক্যাল স্যাম্পেল সংগ্রহ করার সহকারি হিসেবে কাজ করার কোর্স রয়েছে। তেমনই জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা, হৃদরোগীদের চিকিৎসা, মেডিক্যাল ল্যাবে কাজ করা, বয়স্ক ও বিশেষভাবে সক্ষমদের দেখাশুনা করা, স্বাস্থ্য কর্মী, স্বাস্থ্য প্রশাসন প্রভৃতি ক্ষেত্রে সহায়ক হিসেবে কাজ করার কোর্সও আছে। কোন কোর্সের জন্য কী ধরনের হাসপাতাল-মেডিক্যাল ক্লিনিকের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে তাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।