মোল্লা জসিমউদ্দিন: রাজ্যের এক ব্যতিক্রমী পুরসভা হিসাবে রাজ্যবাসীর সিংহভাগই পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভা কে মনে করে থাকে। কেননা পুর ভোট মিটে যাওয়ার মাসের পর মাস চেয়ারম্যান পদ নিয়ে কাজিয়া রয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে। সেখানে বিঘ্নিত নাগরিক পরিষেবা। বৃহস্পতিবার ঝালদা পুরসভা নিয়ে মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট এর বিচারপতি রাজশেখর মান্থার জানান, -‘ এই সাত দিন পুরসভার সমস্ত দায়িত্ব সামলাবেন এসডিও। এই কয়েকদিনের মধ্যে পুরসভা কর্তৃপক্ষকে নিয়ম মেনে নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচন করতে হবে’।গত ১৭ জানুয়ারি ঝালদা পুরসভায় তলবি সভা ছিল। সেখানে অংশ নেন তৃণমূলের ৫ কাউন্সিলর ও ২ কংগ্রেস কাউন্সিলর। পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায় সহ ৫ তৃণমূল কাউন্সিলর ওইদিন পুরসভাতে অনুপস্থিত ছিলেন। পুরপ্রধানকে অপসারণের পক্ষে ওই পুরসভায় উপস্থিত ৭ কাউন্সিলর ভোট দেন। তবে এই ভোট কতটা মান্যতা পাবে? তা নিয়ে সংশয় ছিল।কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের পরে তাঁর ভাইপো সহ ৫ কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকে ঝালদা পুরসভায় সমস্যা শুরু হয়। ১২ আসনের এই পুরসভায় আপাতত ১০টি তৃণমূলের দখলে রয়েছে। বাকি দুটি কংগ্রেসের। কয়েকদিন আগে পর্যন্ত পুরপ্রধান পদে ছিলেন কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া শীলা চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু ২০২২ সালে ২৩ নভেম্বর পুরপ্রধানের অপসারণ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জোড়া মামলা হয়। আদালতের দ্বারস্থ হন তপন কান্দুর স্ত্রী তথা কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু ও কাউন্সিলর বিপ্লব কয়াল। একই দাবিতে ৫ তৃণমূল কাউন্সিলরও দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।মামলার বেড়াজালে ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান নিয়োগ।