ওয়াশিংটন, ২৫ জানুয়ারি: মধ্যপ্রাচ্যে ‘ইসরাইল’ এবং ‘ফিলিস্তিন’ নামক দু’টি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির অধিকাংশ সদস্য। কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেটের মোট ১০০টি আসনের মধ্যে ৫১টিতে রয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্যরা। আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই দলেরই শীর্ষ নেতা। নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে অবশ্য বিরোধী দল রিপাবলিকান পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠ। সেনেটের বুধবারের অধিবেশনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা ও সেনেটর ব্রায়ান শ্যাটজ একটি বিল উত্থাপন করেন। সেই বিলটিতে জেরুসালেম অঞ্চলে একটি গণতান্ত্রিক ও সার্বভৌম ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের ‘ন্যায্য আকাঙ্ক্ষার’ প্রতি সম্মান জানিয়ে পৃথক আরও এক রাষ্ট্র স্থাপনের উল্লেখ ছিল। বিলটি উত্থাপনের পর সেটির পক্ষে-বিপক্ষে ভোটের আহ্বান জানান সেনেট স্পিকার। এই পর্ব শেষ হওয়ার পর দেখা যায়, সেনেটের ৫১ জন ডেমোক্র্যাট সদস্যের মধ্যে ৪৯ জনই প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দিয়েছেন। ‘ভবিষ্যতে ইসরাইল এবং ফিলিস্তিন শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করবে— এটি একটি আশা। আর এই আশার ভিত্তি হল দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান,’ অধিবেশনের অবসরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ব্রায়ান শ্যাটজ। বুধবারের অধিবেশনে সেনেটের দুই ডেমোক্র্যাট সদস্য বিলটির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। তারা হলেন জন ফেটারম্যান এবং জো ম্যাঞ্চিন। কী কারণে বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন, তার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন তারা। ফেটারম্যানের সচিব জানান, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির এই সিনিয়র নেতা সবসময়ই দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে। কিন্তু তিনি বিশ্বাস করেন, হামাসকে চিরতরে নিষ্ক্রিয় না করলে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি স্থাপন সম্ভব নয়। আরেক ডেমোক্র্যাট সেনেটর জো ম্যাঞ্চিন বলেন, ‘যদি একবার ফিলিস্তিনের জনগণ হৃদয় থেকে ইসরাইলের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব স্বীকার করে, তাহলে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে দাঁড়ানো প্রথম ব্যক্তি হবো আমি।’ উল্লেখ্য, ইসরায়েলের সবচেয়ে বিশ্বস্ত মিত্র আমেরিকা। ২০২০ সালে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বচিত হওয়ার পর থেকেই ‘ইসরাইল’ ও ‘ফিলিস্তিন’ নামের দু’টি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে ওয়াশিংটন।