পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: চন্দ্রযান ৩ যখন চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামছিল, তখন ওই ঘটনার অ্যানিমেশন ছিল টিভির অর্ধেক অংশে, আর অর্ধেক অংশে ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাসি মুখ। অনেকে তখনই বলেছিলেন, চন্দ্রযানকেও ২০২৪ সালের লোকসভার প্রচারে কাজে লাগাবে বিজেপি। আর শেষ পর্যন্ত সেটাই হল। বৃহস্পতিবার যুব ভোটারদের সম্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বিজেপির লোকসভা প্রচারের থিম সিং প্রকাশ করা হয়। ওই গানে বলা হয়েছে, ‘সপনে নহী হকিকত বুনতে হ্যায়, তভি তো সব মোদি কো চুনতে হ্যায়’। আর তার সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন দৃশ্য। তাতে দেখা যাচ্ছে, চন্দ্রযান ৩ এর অবতরণের মুহুর্তে প্রধানমন্ত্রীর হাসি মুখের ছবি। রাম মন্দিরে ষষ্টাঙ্গ প্রণামের ছবি। এমনকি সেখানে জি ২০ কেও ভারতের সাফল্য হিসেবে দেখানো হয়েছে। আরব–ইউএই–র সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের উন্নতি, ভারতের বিদেশ নীতির সাফল্য, এসবও তুলে ধরা হয়েছে ২ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের ভিডিয়োতে।
ক্রিকেট বিশ্ব কাপের দিনও স্টেডিয়ামে গেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ও অমিত শাহ।অনেকে টিপ্পনী করে বলেছিল, ভারত সেদিন জিতে গেলে সেটাকেও মোদি সরকারের সাফল্য বলে চালিয়ে দিত বিজেপি। কথাটা তারা হয়তো খুব ভুল বলেননি। চন্দ্রযানকে যদি নিজেদের সাফল্য বলে বিজেপি তাহলে বাদ তাকত নমা ক্রিকেটের ময়দানও। কারণ ইসরোর সাফল্যের ভাগীদার একমাত্র ইসরোর বিজ্ঞানীরাই। সেখানকার কর্মীরা যা বেতন পান, তাতে সংসার চলেন অনেকেরই। চন্দ্রযান ৩ এর সঙ্গে যুক্ত এক কর্মীকে সম্প্রতি ইডলি বিক্রি করতে দেখা গেছিল। এহেন ইসরোর সাফল্যেও কিভাবে ভাগ বসালো বিজেপি সেই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য নেই।