পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: : পশ্চিমা কায়দায় লিভ ইন সম্পর্ক আমাদের ভারতীয় ঐতিহ্যের অঙ্গ নয়। একজন ভারতীয় নাগরিকের তাঁর দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে অনুসরণ করাই তার কর্তব্য। একটি মামলার পর্যবেক্ষণে এই পরামর্শ দিল ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। বিচারপতি শামিম আহমেদ এক ৩২ বছর বয়সী আবেদনকারির দায়ের করার হেবিয়াস কর্পাস মামলায় পর্যবেক্ষণে এই কথা বলেন। আবেদনকারির অভিযোগ, তার ২৯ বছর বয়সী সঙ্গীকে তার পরিবার জোর করে আটকে রেখেছে। আবেদনকারির কৌঁসুলির করা কিছু যুক্তির ভিত্তিতে বিচারপতি পর্যবেক্ষণ করেন যে ভারতের মতো একটি দেশে লিভ-ইন সম্পর্ক সাধারণ নয়। গত ১১ জানুয়ারি বিচারপতি এই মামলায় শুনানি করেন।
আদালত এই মামলায় তার পর্যবেক্ষণে জানায়, হেবিয়াস কর্পাস আবেদনটি শুধুমাত্র একটি মেয়ে এবং তার পরিবারকে সমাজে মানহানি করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। বিচারপতি অভিমত দেন, মেয়েটির পরিবারকে চাপে ও অপমানের ভয় দেখিয়ে কোনও ধরনের সমঝোতা করার জন্যই আবেদনটি করা হয়েছে।
বিচারপতি আহমেদ জানান, এই ধরনের মামলার মধ্যে আদালত কোনও যুক্তি খুঁজে পাচ্ছে না। আদালত সূত্রে খবর, আবেদনকারি ৩২ বছর বয়সী আশিস কুমার কোর্টে জানান তিনি ওই মহিলার সঙ্গে ২০১১ থেকে সম্পর্কে রয়েছেন। তারা দুজনে বিয়ে করতে চায়। ইউনিয়ন ওই মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তাদের এই সম্পর্কে বাধা দিচ্ছে। তার সঙ্গিনীকে তার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি, বাড়িতে আটকে রাখা হয়। মামলায় আশিস কুমার তাদের সম্পর্কের প্রমাণ সরূপ তার সঙ্গিনীর কিছু চিঠি ও ছবি আদালতে জমা দেন। বিচারপতি জানান, যে তথ্যগুলি পেশ করা হয়েছে আবেদনকারির তরফে সেগুলি হেরফের করা হয়েছে, ছবিগুলি ভুয়ো।
আদালত প্রশ্ন তোলে, ১৩ বছরের সম্পর্কে এখনও আপনারা বিয়ে করলেন না কেন? আদালত আরও জানায়, আবেদনকারি আশিস কুমার কৌশলগতভাবে কোর্টের কাছে তাদের লিভ-ইন সম্পর্কের কথা রিট পিটিশনে উল্লেখ করেননি।
আদালত হেবিয়াস কর্পাস মামলাটি খারিজ করে আবেদনকারি আশিস কুমারের উপর ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করে। সেই সঙ্গে আদালত জানায়, এই ধরনের সম্পর্কগুলি একটি মেয়ের বিয়ের ক্ষেত্রে পরবর্তীতে অনেক সমস্যা তৈরি করতে পারে।