পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ তিনদিনের বিদেশ সফরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সফরে মার্কিন ভাইস প্রসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ওয়াশিংটনে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এটাই মোদি সঙ্গে কমলা হ্যারিসের প্রথম সাক্ষাৎ। যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করার জন্য কমলা হ্যারিসকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি কমলা হ্যারিসকে ভারত সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, তাঁকে স্বাগত জানাতে ভারতের জনগণ অপেক্ষা করছে। কমলা হ্যারিসকে নরেন্দ্র মোদি’ অনুপ্রেরণার উৎস’ বলে আখ্যা দেন। কমলা হ্যারিস যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ও দক্ষিণ এশীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট। তার মা ভারতীয়।
এদিন যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে আপনার নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক ঘটনা। আপনি সারা বিশ্বের অনেকের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। আমি আত্মবিশ্বাসী যে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং আপনার নেতৃত্বে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতা স্পর্শ করবে। কমলা হ্যারিস জানান, করোনা মোকাবিলায় ভারতের পাশে আছে আমেরিকা। ভারত-আমেরিকা যখনই পাশাপাশি দাঁড়িয়েছে তখন ভালো কাজ হয়েছে। বৈঠকে দুজনের মধ্যে দেশের উন্নয়ন নিয়ে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গির পাশাপাশি আফগানিস্তানের বর্তমান অবস্থা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সাক্ষাতে নরেন্দ্র মোদি ও কমলা হ্যারিসের মধ্যে জলবায়ু প্রসঙ্গ উঠে এসেছে।
সম্প্রতি ভারতে ন্যাশনাল হাইড্রোজেন মিশন লঞ্চ করা হয়েছে। বৈঠকে সেকথা হ্যারিসকে জানিয়েছেন মোদি। সুস্থ পরিবেশের কথা মাথায় রেখে কিভাবে বিভিন্ন শক্তিকে কাজে লাগানোর উপর ভারত বেশি জোর দিচ্ছে তা নিয়ে দুজনের মধ্যে আলাপ আলোচনা হয়। ভারতের আবার টিকা রফতানি শুরুর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন কমলা।
দুজনের এই বৈঠক প্রসঙ্গে ভারতীয় বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রীংলা জানিয়েছেন, এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক উষ্ণতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ হয়েছে। বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাস, সাইবার নিরাপত্তা, মহাকাশ সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। শৃঙ্গলা আরও জানিয়েছেন, সন্ত্রাসের প্রসঙ্গে উঠে আসতেই পাকিস্তানের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে মোদির কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেন কমলা। পাশাপাশি এই ধরনের জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রতি পাকিস্তানের সমর্থনকে লাগাম টানার কথাও বলেন তিনি। সন্ত্রাসের বিষয় নিয়ে নজরদারি চালানোর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একমত হন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।