পুবের কলম প্রতিবেদকঃ শহরে পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে কলকাতা পৌর সংস্থা। শনিবার শহর কলকাতার ১২৫, ১২৬ নম্বর ওয়ার্ড সহ বেশ কিছু জায়গার মানুষ ‘টক টু মেয়র’-এ তুলে ধরেন নিজেদের সমস্যার কথা। এরপরেই কলকাতা পুরসভায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে মেয়র জানিয়ে দিলেন শহরবাসীর সমস্যা মেটাতে ইতিমধ্যেই একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে পুরসভা। এমনকি অনেক জায়গায় পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে খিদিরপুর থেকেও আনা হচ্ছে জল।
কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘অনেকগুলো জায়গাতেই জলের সমস্যা এখনও আছে। সেখানে আমরা প্রায় ৭০০ কোটি টাকা খরচ করছি। এর মধ্যে ধাপা এবং গড়িয়াতে দুটো ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট আছে। সব মিলিয়ে ১৫টা আরও ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট আছে। ২০-২২টা বুস্টার পাম্পিং স্টেশন আছে। এছাড়া, পাইপ দিয়ে মহেশতলাতে একটা বড় সাপোর্ট দিচ্ছি। যেগুলো পুরানো পাইপ লাইন আছে সেগুলো বদল করছি। ওয়াটার ট্রিটমেন্ট আপগ্রেডেশনের জন্য আমরা ৭০০ কোটি টাকা খরচ করছি। সব ওয়ার্ডে যেখানে যেখানে জলের সমস্যা আছে, সেখানে সেখানে কাজ করছি। প্রধান প্রধান রাস্তায় জ্যাকেটিং করছি। যেখানে যেখানে জলের লিকেজ হচ্ছে সেখানে জ্যাকেটিং করছি। এন এস রোডে পুরোটা জ্যাকেটিং করছি। কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যাদবপুর, টালিগঞ্জের কিছু কিছু জায়গায় আমি আসার পরে সমস্যা মিটিয়েছি। প্রায় ৩৪টা বুস্টিং পাম্পিং স্টেশন করেছি। এখনও ১৫টা ইমিডিয়েট পাইপলাইন রয়েছে ওখানে। এছাড়া ধাপার জয় হিন্দ প্রকল্পে ৩০ মিলিয়ন গ্যালনের সঙ্গে আরও ২০ মিলিয়ন গ্যালনের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। গড়িয়া ঢালাই ব্রিজে আরও ১০ মিলিয়ন গ্যালনের জল প্রকল্প করছি। যেখানে জলটা খিদিরপুর-কুঁদঘাট থেকে আসছে। কুদঁঘাট থেকে জলটা টালি নালা হয়ে ওখানে আসছে।’
একইসঙ্গে, বোরিং প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ‘কলকাতা কর্পোরেশনের তরফে কিছু কিছু জায়গায় আমাদের নিজেদের বোরিং আছে। যে জায়গাগুলোতে আমরা এখনও জল দিতে পারিনি যেমন টালিগঞ্জ, যাদবপুরের অনেকগুলো জায়গায় বোরিং করেছি। এছাড়া কিছু কিছু জায়গায় বড় প্রোজেক্টে ওরা (প্রোমোটাররা) আমাদের থেকে অনুমতি না নিয়ে বোরিং করে ফেলেছে। তারা সুইট থেকে অনুমতি নেয়। তবে, পৃথিবীর ক্ষেত্রে বোরিং করা সবসময় বিপদজনক।’