পুবের কলম প্রতিবেদক: রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় ফের শহরের একাধিক জায়গায় ইডির হানা। মকর সঙ্ক্রান্তির সকালে কলকাতার মোট চার জায়গায় হানা দিয়েছেন ইডির কর্তারা। সল্টলেক সেক্টর ফাইভে চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অরবিন্দ সিংয়ের অফিস সহ মোট চার জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন ইডির কর্তারা।
জানা গিয়েছে, বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা এই মামলায় ধৃত শঙ্কর আঢ্যের সঙ্গে এই চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্সি ফার্মের যোগ রয়েছে। তাই, নতুন তথ্য পেতে এই তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি। সল্টলেক সেক্টর ফাইভের আরএস মোড়ে সিটকো গ্লোবাল টাওয়ারের বারো তলায় সিএএসকেবি চাটার্ড অ্যাকাউন্টের অফিসে হানা দেয় ইডি। গোটা চত্বর ঘিরে ফেলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। ইডির অপর একটি টিম রয়েছে ‘মারকুইস স্ট্রিট’-এ ‘আসিফা’ নামে একটি গেস্ট হাউজে।
জানা গিয়েছে, ওই গেস্ট হাউজের ভিতরে রেশন দুর্নীতি কান্ডে ধৃত শংকর আঢ্যর একটি বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের অফিস রয়েছে। ওই অফিসে তল্লাশি চালাচ্ছেন তাঁরা। হাতে কাগজ নিয়ে এই গেস্ট হাউজের ভিতরে ঢোকেন গোয়েন্দারা। তবে, মারকুইস স্ট্রিট-এর এই অফিসে ইডির এই তল্লাশি অভিযান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার কারণ এই গেস্ট হাউসে যে অফিস রয়েছে তার নাম ‘আঢ্য ফোরেক্স প্রাইভেট লিমিটেড’। ঠিকানা-১১/১/এ মারকুইজ স্ট্রীট। শঙ্কর আঢ্যের ৯০টি সংস্থার, এই সংস্থাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ, এই সংস্থার বিষয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আদালতে দাবি করেছিল, ‘আঢ্য ফোরেক্স প্রাইভেট লিমিটেড’ সংস্থার মাধ্যমে অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা শকর আঢ্য বিদেশে লেনদেন করেছেন বলে অভিযোগ।
অন্যদিকে, নিউ মার্কেটের কাছে চৌরঙ্গি লেনে এসআর আঢ্য ফিনান্স প্রাইভেট লিমিটেডের অফিসেও চলছে ইডির অভিযান। এটিও শঙ্কর আঢ্যর ফোরেক্স কোম্পানি বলে দাবি ইডির। এর আগে, এই অফিস সিল করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি। ইডির দাবি, শঙ্কর আঢ্যর এই ফোরেক্স কোম্পানির মাধ্যমে রেশন দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার, কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ইডির দাবি অনুযায়ী, ফোরেক্স কোম্পানির মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রা বিনিময় নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে হয়নি।