পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: আড়াই হাজার বছর ধরে সনাতন ধর্মকে রক্ষা করে আসছেন যারা, তারাই আসবেন না রাম মন্দিরের উদ্বোধনে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ চার শঙ্করাচার্য জানিয়ে দিয়েছেন, রাম লালার অভিষেকের অনুষ্ঠানে তারা থাকবেন না। কারণ, মন্দির নির্মাণ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। নির্মীয়মান মন্দিরে নিয়ম না মেনে রাম লালার অভিষেক করা মানে সনাতন ধর্মের অপমান। তাই চার শঙ্করাচার্য বলে দিয়েছেন, ২২ জানুয়ারি তারা থাকছেন না অযোধ্যায়।
এই প্রসঙ্গে আাম আদমি পার্টির মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ বলেন, আমাদের সরকার যদি ক্ষমতায় থাকত, তাহলে আমি ওই চার শঙ্করাচার্যের পায়ে পড়তাম। তাদেরকে নিয়ে আসতাম। সনাতন ধর্মের রক্ষকরা মন্দির উদ্বোধনের দিন থাকবেন না, এটা মেনে নেওয়া যায় না।
সৌরভ বলেন, চারজন শঙ্করাচার্যই বলছেন, মন্দিরটি অসম্পূর্ণ। এমন অবস্থায় রাম লালার ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’ বেদ ও সনাতন ধর্মের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। আমি মনে করি, তাদের মতামতকে সম্মান করা উচিত। তারাই হিন্দু ধর্মের সর্বোচ্চ কর্তা। তারা অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন না, এটা দুঃখজনক ঘটনা।
উল্লেখ্য, ২২ জানুয়ারি তড়িঘড়ি রাম মন্দির উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি সরকার। যাতে এর ফায়দা তোলা যায় ২০২৪ এর লোকসভায়। প্রথমে বিরোধীরা অভিযোগ করেছিল, রাম মন্দিরকে ব্যবহার করছে বিজেপি। এবার হিন্দু ধর্মের সর্বোচ্চ কর্তারাও একই কথা বলছেন। রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার কাজ প্রধানমন্ত্রীর নয়। নিয়ম মেনে সে কাজ করার কথা শঙ্করাচার্যদের মত ব্যক্তিত্বদের। কিন্তু সেসবের তোয়াক্কা করছে না বিজেপি বা নরেন্দ্র মোদি। তাদের লক্ষ্য শুধুই চব্বিশের লোকসভা।