পুবের কলম প্রতিবেদকঃ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ– নায্য প্রাপ্য দিচ্ছে না রাজ্যের সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর। অন্যদিকে নবান্ন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক– পাঠক্রমিক ও প্রশাসনিক বিষয়ে তদন্ত চালু করা হয়েছে। এই দুইয়ের জাঁতাকলে পড়ুয়াদের স্বার্থ বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে সমস্যা নিরসনের দাবিতে প্রতীকী অবস্থানে বসে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ পড়ুয়ারা। বুধবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত পার্ক সার্কাস ক্যাম্পাসে তিন ক্যাম্পাসের পড়ুয়ারা একাংশ সমবেত হয়ে অবস্থানে বসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জটিলতা কাটাতে সরকার ও কর্তৃপক্ষকে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে হবে বলেও দাবি জানানো হয়।
এদিন পডYয়াদের পক্ষে মনসুর হাবীবুল্লাহ– সাজিদুর রহমান– মুহাম্মদ আব্বাসউদ্দীন সরদার– মুহাম্মদ মাসুদুর রহমানের নের্তৃত্বে অবস্থান বিক্ষোভ হয়। দাবি সম্বলিত প্লাকার্ড হাতে স্লোগানও দেন আলিয়ার পড়ুয়ারা।
পড়ুয়াদের দাবি– তাঁরা জানতে পেরেছেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অন্য প্রতিষ্ঠানকে হস্তান্তর করা হচ্ছে– তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী, শুভাকাঙ্খী আহত হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ– বর্তমানে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত হস্টেল– খেলার মাঠ ও স্টাফ কোয়াটার নেই। তার পরেও ছাত্রছাত্রীদের জন্য খেলার মাঠ– হস্টেল-এর প্রস্তাবিত জমির একটা অংশ অন্য প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হচ্ছে।
আন্দোলনকারীদের বক্তব্য– আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে একদিকে তদন্ত কমিটি– অন্যদিকে তদন্তের অজুহাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি অর্থবর্ষের প্রাপ্য বাজেট নির্ধারিত অর্থ বন্ধ রাখা হয়েছে। তদন্ত সঠিক প্রক্রিয়ায় এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে হোক– সেই রিপোর্ট জনসমক্ষে প্রকাশ করা হোক। পড়ুয়াদের বক্তব্য– আগের ‘ফ্যাক্ট ফাইণ্ডিং কমিটি’র রিপোর্টের ভিত্তিতে আজ পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কিনা তা তাদের কাছে অজানা। এবারও যদি একই ঘটনা ঘটে আর প্রাপ্য অর্থ না পাওয়ায় শিক্ষাক্ষেত্রে পরিকাঠামোজনিত ক্ষতি হয় তবে সেই দায় কে নেবে? প্রশ্ন তোলেন আন্দোলনকারীরা।
রাজ্যের সংখ্যালঘু দফতরের উদাসীনতায় সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের ডব্লিউবিসিএস-এর কোচিং বন্ধ হয়েছে। বিভিন্ন অজুহাতে ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপ বাবদ বরাদ্দ অর্থও অনেকই পাচ্ছে না। সেই ঘটনার প্রতিবাদ ও সমস্যা দ্রুত মেটানোর দাবিতে এদিনের অন্দোলন।
আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের আরও বক্তব্য– আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ২৫০ বছরের ঐতিহ্য– হাজার হাজার মানুষের আবেগ– বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের আশা-ভরসার প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বর্তমানে চরম অবহেলার শিকার। সংখ্যালঘু দফতরের উদাসীনতায় প্রশ্নের মুখে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীদের জীবন।