পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: গোয়ার সমুদ্রসৈকতের কথা কারুর অজানা নয়। ভারতের পশ্চিম তীরে অবস্থিত গোয়া ভারতের একটি রাজ্য। এটি তার ঝকঝকে সাদা সৈকত, উষ্ণ সমুদ্র ও প্রাণবন্ত গোয়ার নাইট লাইফের জন্য পরিচিত। সুরাপান থেকে শুরু করে চারিদিকে বিকিনি পরা মেয়েদের সমুদ্রজুড়ে উদ্দামতা চলে। গোয়া পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম জায়গা। তবে গোয়ার নস্ট্যালজিয়া গায়ে মেখে যদি কেউ লাক্ষাদ্বীপে ভ্রমণ করতে যেতে চান, তাহলে তার না যাওয়াই ভালো। কারণ যে উদ্দামতা, মাদকতা, লাগামহীন জীবন গোয়ার সমুদ্রসৈকতে দেখা যায়, সেই আমোদ প্রমোদের কিন্তু একদম অনুমতি নেই লাক্ষাদ্বীপে।
যদিও গোয়া এবং লাক্ষাদ্বীপ উভয়ই সুন্দর সৈকত এবং শান্ত বাতাসের জন্য পরিচিত পর্যটন স্পট। তবে অন্য সমুদ্রসৈকতের তুলনায় লাক্ষাদ্বীপ একদমই স্বতন্ত্র। বাঙ্গারাম ও থিঙ্কাকারা ছাড়া লাক্ষাদ্বীপের অন্য সমস্ত জায়গায় বিকিনি পরা নিষিদ্ধ। লাক্ষাদ্বীপ দ্বীপপুঞ্জে মদ্যপান নিষিদ্ধ। কারণ এই অঞ্চলে মদ্যপানের কোনও অনুমতি নেই। ২০২১ সালে, এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল শুধু মাত্র বাঙ্গারাম দ্বীপ ছাড়া অ্যালকোহল বিক্রি এবং সেবনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তাহলে লাক্ষাদ্বীপে যদি আপনি পার্টি করতে চান, তাহলে সুরাপান থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে ডাবের জল, জুস পান করেই করেই গলা ভেজাতে হবে।
গোয়ার নাইটলাইফও আলাদা। তবে লাক্ষাদ্বীপ এক্ষেত্রেও তার স্বতন্ত্র জায়গা তৈরি করেছে। লাক্ষাদ্বীপে সারা রাত শুধুমাত্র হোটেলে বিশ্রাম নিতে পারেন। উচ্চস্বরে কোনও মিউজিক বাজানো যাবে না। লাক্ষাদ্বীপের রাত খুব শান্তিপূর্ণ। যা আপনাকে শীতল বাতাস অনুভব করতে এবং ঢেউয়ের শান্ত শব্দে ধ্যান করার অনুভূতি দেয়। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে বাঙ্গারাম সমুদ্র সৈকতে বায়োলুমিনেসেন্সের সাক্ষী হতে পারেন। লাক্ষাদ্বীপ তার মুগ্ধকর সূর্যাস্তের জন্য জনপ্রিয়। তবে বিকিনি পরে সানবাথ নেওয়া নিষিদ্ধ। এখানে রয়েছে নারকেল গাছের সারি। তবে নারকেল গাছে এখানে ওঠা যাবে না। বেড়াতে এসে মানুষের মধ্যে খুব স্বাভাবিকভাবে একটা উৎসুকুতা থাকে। কিন্তু এখানে ভুল করে যদি কেউ নারকেল গাছে উঠে পড়েন, তাহলে তার জন্য জরিমানা গুণতে হবে।
সম্প্রতি লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনিও লাক্ষাদ্বীপের সৌন্দর্য, শান্ত, সুন্দর পরিবেশকে স্বর্গীয় সুখের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।