বিশেষ প্রতিবেদন: মদিনার পবিত্র মসজিদে নববীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সুগন্ধময় রাখতে প্রতিদিন সেখানে ব্যবহার করা হয় বিশ্বের সেরা মানের ৩০ টন (৩০ হাজার লিটার) সেন্ট বা পারফিউম। এছাড়া মসজিদের ভেতরের কার্পেট সাফ রাখতে প্রতিদিন ১১৫ টন জীবাণুনাশক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। মক্কা ও মদিনার দুই পবিত্র মসজিদ পরিচালনা কর্তৃপক্ষের উপপ্রধান ফাওজি আল হুজাইলি এই তথ্য জানিয়েছেন। প্রতিবছর বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ মসজিদে নববীতে নামায আদায়ের জন্য যান। ফাওজি আল হুজাইলি বলেছেন, ‘প্রতিদিন মসজিদে নববীতে যে পরিমাণ সুগন্ধি ব্যবহার করা হয় সেটি ৩০ টনে পৌঁছেছে। মসজিদের কার্পেট পরিষ্কারের জন্য ১১৫ টন ও মেঝে পরিষ্কারের জন্য ১১০ টন জীবাণুনাশক ব্যবহার করা হয়।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘মসজিদ প্রাঙ্গনকে জীবাণুমক্ত রাখতে অন্তত ৬০০যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। খুব দক্ষ কর্মীদের দ্বারা এসব যন্ত্র আলাদা আলাদাভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।’ সাধারণত মক্কায় উমরাহ ও হজ পালন শেষে মুসল্লিরা মদিনার মসজিদে নববীতে যান। এছাড়া অনেকে নবী সা.র রওজা মোবারকও দেখতে যান। প্রতি সপ্তাহে মসজিদে নববীতে প্রায় ৫২ লক্ষ মুসল্লি নামায আদায় করেন। সরকারি তথ্যানুযায়ী, চলতি মরসুমে বাইরের দেশগুলো থেকে প্রায় এক কোটি মুসল্লি উমরাহর জন্য সউদি আসতে চলেছেন। গত এপ্রিলে সউদি কর্তৃপক্ষ মসজিদে নববীর পবিত্র কক্ষের চারপাশে সোনালি পিতলের বেষ্টনী তৈরি করেছে। কর্তৃপক্ষ বলেছে, নবী সা.র রওজা শরিফ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই এই বেষ্টনীর নকশা তৈরি করা হয়েছে। খাঁটি পিতলের তৈরি ৮৭ মিটার দীর্ঘ বেষ্টনীটি নবী (সা.)-এর রওজা শরিফকে তিন দিক থেকে ঘিরে রেখেছে। ভ্রমণপ্রত্যাশীদের আগমন ও রক্ষণাবেক্ষণের চাপে এই বেষ্টনীর কোনও ক্ষতি হবে না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।