পুবের কলম প্রতিবেদক– পুরুলিয়া পুরুলিয়ায় ‘সূচকাণ্ডে’ মূল অভিযুক্ত সনাতন গোস্বামী ওরফে ঠাকুর ও মৃত শিশুর মা মঙ্গলা গোস্বামীর মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করলেন পুরুলিয়া অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক রমেশ কুমার প্রধান। প্রায় সাড়ে চার বছর মামলা চলার পর ফাঁসির সাজা শোনাল আদালত। স্বামীর সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে খোদ মা তার সন্তানকে খুন করায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির সিদ্ধান্ত পুরুলিয়া আদালতের বিচারপতির।
দোষী সাব্যস্ত সনাতন গোস্বামী ওরফে ঠাকুর ও মঙ্গলা গোস্বামীর বাড়ি পুরুলিয়ার নদিয়াড়াতে। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ায় সনাতনকে বিয়ে করেছিল মঙ্গলা। কিন্তু সংসারে তাদের মাথাব্যথার কারণ হয়েছিল সাড়ে তিন বছরের শিশুকন্যা। তাই দু’জন মিলে ওই শিশুকন্যার শরীরে ৭টি সূচ ঢুকিয়ে দিয়েছিল। পায়ুদ্বারে একটি ও পেটের দু’পাশে ছ’টি।
এই মামলার সরকারি আইনজীবী আনোয়ার আলি আনসারি বলেন– ‘স্বামী-স্ত্রী দু’জনকেই দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। বিরলতম ঘটনা হিসেবে ব্যাখ্যা করে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হল দোষীদের। পুরুলিয়া আদালত সূত্রে জানা যায়– এই মামলায় মোট ৪৪ জন সাক্ষী দেন। ২০১৭ সালের জুলাই মাসের এই ঘটনার ৫৮ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা দেওয়ার পর ওই বছরের ২৪ অক্টোবর মামলা শুরু হয়। এই ঘটনায় অসুস্থ ওই শিশুকে ২০১৭ সালের ১১ জুলাই দেবেন মাহাতো সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হয়। তারপর পুরুলিয়া চাইল্ড লাইনের তৎকালীন কো-অর্ডিনেটর দীপঙ্কর সরকার ওই বছরের ১৪ জুলাই পুরুলিয়া মফসস্ল থানায় অভিযোগ করেন। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই শিশুকন্যার শরীর থেকে ৭টি সূচ বের হওয়ার পরেও তাকে বাঁচানো যায়নি। ২২ জুলাই রাতে এসএসকেএমে মৃত্যু হয়। তারপরেই মা মঙ্গলা ও সনাতন গোস্বামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।