পুবের কলম প্রতিবেদক: কলকাতার কোন ওয়ার্ডে কত পুকুর আছে, কত পুকুর বুজিয়ে ফেলা হয়েছে, তার রিপোর্ট এক সপ্তাহ আগেই জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। গার্ডেনরিচ এলাকা অর্থাৎ ১৫ নম্বর বোরো থেকে কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মেয়র। শনিবার, সেই রিপোর্ট প্রকাশ করলেন তিনি। শনিবার পুরসভায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে মেয়র বলেন, “গার্ডেনরিচে কত পুকুর আছে। তার ঠিকানা ধরে ধরে দেখা হচ্ছে। ১৫ নম্বর বোরোতে মোট ৪৩২টি পুকুর রয়েছে। ১৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে ৯টা, ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে ১টা, ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে ১০-১৩টা, ১৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে ২১টা পুকুর রয়েছে। সবথেকে বেশি রয়েছে ১৪১ নম্বর ওয়ার্ডে। ১৩৬টা পুকুর আছে।”
তিনি আরও বলেন, “এছাড়াও বামফ্রন্ট আমলে ওই বোরোতে প্রায় ৪৫০টি পুকুর বুজিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর রেকর্ড আমাদের কাছে নেই। তখন তো পুকুরের লিস্টও তৈরি করা হত না। স্থানীয় ভাবে পরীক্ষা করে জানানো হয়েছিল, সেই রেকর্ডের অনুযায়ী এই পরিসংখ্যান আছে। তখন কিছু রেকর্ড ছিল না। এখন আমরা দৌড়ে যাচ্ছি বলে সার্ভে রিপোর্ট তৈরি করছি। পুকুর বোজানো আটকাতে পারছি।”
একইসঙ্গে বেআইনি পুকুর বোজানো প্রসঙ্গে মানুষকে সচেতন হওয়ার বার্তা দিয়ে মেয়র বলেন, “পুলিশিং করে, প্রেস দৌড়ে যাবে তার পরে পুকুর পরিষ্কার হবে এটা কাম্য নয়। মানুষ সচেতন না হলে হবে না। পুকুর চুরি হয়ে যাচ্ছে মানে আমার অক্সিজেন চুরি হয়ে যাচ্ছে। যার অক্সিজেন চুরি হয়ে যাচ্ছে তার হুঁশ থাকবে না? বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ চুরি হয়ে যাচ্ছে। কলকাতা পৌরসংস্থার একার পক্ষে করা সম্ভব হচ্ছে না। ভয় না পেয়ে থানায় অভিযোগ জানান। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে জানান। যদি কেউ কিছু বলে স্থানীয় প্রতিনিধির কাছে যান। থানায় যারা ডিউটিতে আছে, তারা কেন অভিযোগ নেবে না। মানুষ কে আরো সচেতন হতে হবে।” মেয়রের বক্তব্য, “বামফ্রন্ট সরকারের সময় আমরা খেলার মাঠ নিয়ে লড়েছি। তখন সবাই মিলে প্রতিবাদ করেছি। তাহলে আজকে প্রতিবাদ হবে না কেন মানুষ কে আরো সচেতন হতে হবে।”