পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ সোমবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরেছেন দিলীপ ঘোষ। তার জায়গায় এসেছেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।
দিলীপের রাজ্য সভাপতি পদে মেয়াদ ছিল ২০২৩ এর জানুয়ারি পর্যন্ত। কিন্তু তার অনেক আগেই সরলেন তিনি। কিন্তু কেন? সামনে আসছে বেশ কিছু অঙ্ক।
আসুন একটু চোখ রাখা যাক পরিসংখ্যানে। ২০১৫ সালে রাজ্য সভাপতি পদে আসীন হন দিলীপ ঘোষ। তারপর থেকে বিজেপি রাজ্য রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হতে শুরু করে। ২০১৮ থেকে বিজেপির বিস্তারের প্রভাব পড়তে শুরু করে নির্বাচনী ফলে। ২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি বাংলার প্রান্তিক জেলাগুলিতে ভালো ফল করে। তারপর ২০১৯-এর লোকসভায় ১৮ জন সাংসদ নির্বাচিত হন বিজেপির টিকিটে।
এই পর্যন্ত সবই ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু ২০২১ এর রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ডাবল ইন্জিন গড়ার স্বপ্ন। একের পর এক বিধায়করা বিজেপি ছেড়ে যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে। ৭৭ থেকে সংখ্যা কমে এখন বিজেপির রাজ্যে বিধায়ক সং ৭২। গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্বের মতে এই সবই দিলীপ ঘোষের ওপর আস্থা হারানোর ফসল। দলের রাশ টানতে ব্যর্থ তিনি।
এর ওপর আগুনে ঘি ঢেলেছে বাবুল সুপ্রিয়র মত হেভিওয়েটের তৃণমূলে যোগদান। বেশ কিছু দিন ধরেই কিন্তু দিলীপ অপসারণের ক্ষেত্র প্রস্তুত হচ্ছিল। তৃণমূলে যোগ দিয়ে বাবুলও বিজেপির রাজ্যে শোচনীয় ফলাফলের জন্য দিলীপ ঘোষকেই দায়ী করেছেন।
রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের মতে নয়া রাজ্য সভাপতি তথা কালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের সাংগঠনিক দক্ষতা অপরিসীম, ঠান্ডা মাথা, সংঘ পরিবারেরও গুডবুকে রয়েছেন। দিলীপের মত যা মুখে এল বলে দেননা। তাই ২০২৪ এর দিকে লক্ষ রেখেই সুকান্ত মজুমদার কে বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে নিয়ে এলেন শীর্ষ নেতৃত্ব।