পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: সপ্তাহখানেক আগেই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ঘটা করে প্রস্তাব পাস হয়েছিল যে গাজায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য ইসরাইল ও হামাস দুপক্ষই যথাসাধ্য করিডর করে দেবে৷ তারা ত্রাণ আটকাবে না৷ বরং ত্রাণের গাড়ি পৌঁছাতে পথ করে দেবে৷ কিন্তু ফিলিস্তিনের গাজায় ঘটছে ঠিক উলটোটা৷
রাষ্ট্রসংঘের ত্রাণবাহী গাড়ি আটকে দিচ্ছে খোদ ইসরাইল৷ এমনকি ত্রাণবহরকে তারা টার্গেট করছে বলেও গুরুতর অভিযোগ তুলেছে রাষ্ট্রসংঘের ইউএনআরডব্লিউএ৷ এভাবে গাজাবাসীকে কষ্টে ও অনাহারের মধ্যে ফেলে তাদের তিলে তিলে মারতে চাইছে নেতানিয়াহু বাহিনী৷
এদিকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার দক্ষিণে খান ইউনিস এলাকায় চলছে ইসরাইলের তীব্র হামলা। নির্বিচার বোমার আঘাতে তছনছ হয়েছে পুরো এলাকা। হামাস যোদ্ধাদের খুঁজতে ঘরে ঘরে অভিযান চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। গাজার বাসিন্দারা ‘ঘোরতর বিপদের’ মধ্যে রয়েছেন বলে উল্লেখ করেছে রাষ্ট্রসংঘ।
ইসরাইলের নৃশংসতার মুখে উপত্যকাটির ২৪ লাখ মানুষের ৮০ শতাংশের বেশি এখন ভিটেমাটিছাড়া। গাজার একেবারে দক্ষিণে মিশর সীমান্তবর্তী রাফাহ এলাকায় অস্থায়ী তাঁবুতে চরম মানবেতর অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁদের অনেকে। এমন পরিস্থিতিতে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে কাতারসহ কয়েকটি দেশ। যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোও।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক ফোনে তিনি গাজায় বেসামরিক মানুষের হতাহতের বিষয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে ‘দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতির’ লক্ষ্যে তৎপরতার ওপর জোর দিয়েছেন ম্যাক্রো। এ অবস্থায় জিম্মি ও বন্দিবিনিময়ের নতুন প্রস্তাব দিয়েছে ইসরাইল।
গত ৭ অক্টোবরের হামলায় ইসরাইল থেকে প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করেছিল হামাস। পরে গত মাসের শেষের দিকে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চলাকালে তাঁদের অনেককে মুক্তি দেওয়া হয়। এখনো হামাসের হাতে ১২৯ জন জিম্মি আছেন বলে দাবি ইসরাইলের। এসব জিম্মিকে মুক্ত করতে ইসরাইল সরকার নতুন বন্দিবিনিময় চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম চ্যানেল ১৩।
কাতারের কাছে উত্থাপন করা ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ইসরাইল প্রথমে গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে সেনাদের সরিয়ে নেবে। একই সঙ্গে উপত্যকাটিতে আরও ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। বিনিময়ে নিজেদের কাছে জিম্মি থাকা ইসরাইলি ও মৃত ইসরাইলিদের লাশ ফেরত দেবে হামাস। তবে ইসরাইলের ওই প্রস্তাব এখনো গ্রহণ করেনি হামাস।