পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক:
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং জার্মানির নাৎসী শাসক অ্যাডলফ হিটলারের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এছাড়া ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে বেসামরিক নাগরিক হত্যাকে ইতিহাসে সংঘটিত ইহুদি হত্যার সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি।
রাজধানী আঙ্কারায় এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন এরদোয়ান। বক্তব্যে নেতানিয়াহু ও হিটলারের মধ্যে পার্থক্য কী? এমন প্রশ্ন তোলেন তিনি।
এরদোয়ান বলেন, ‘তারা হিটলারের সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলত। তবে হিটলার আর আপনার মধ্যে কী পার্থক্য আছে? এই নেতানিয়াহু যা করছেন সেটা কি হিটলারের চেয়ে কম? তারা তো আলাদা নয়।’
এরদোয়ান আরও বলেন, ‘নেতানিয়াহু হিটলারের চেয়েও সমৃদ্ধ। তিনি পশ্চিমাদের সমর্থন পান। সব ধরনের সাহায্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে। এবং এই সমস্ত সাহায্য তারা কীসের বিনিময়ে করেছে? তারা ২০ হাজারেরও বেশি গাজাবাসীকে হত্যা করেছে।’
গত নভেম্বরে ইসরাইলকে ‘সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র’ হিসেবে অভিহিত করেন এরদোয়ান; যাদের সীমাহীন পশ্চিমা মদদ রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন।হিটলারের শাসনামলে ইউরোপে পরিকল্পনামাফিক ইহুদিদের নিধন করা হয়েছে। এতে প্রায় ৬০ লাখ ইহুদিকে নানা নির্মম পন্থায় হত্যা করা হয়।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু অবশ্য পরে এমন কড়া মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন। তিনি তুরস্কে ও কুর্দি সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এরদোয়ান অধিকার লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ তুলে সমালোচনা করেছেন।
সমালোচনার পরও ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রক্ষা করে আসছে তুরস্ক। দেশটির বিরোধীদলগুলোসহ ইরানও এই সম্পর্কের নিন্দা জানিয়ে আসছে। তবে আঙ্কারা বলছে, ৭ অক্টোবরে গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য একলাফে অনেকটাই কমে গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে অন্তত ২১ হাজার ১১০ জন নিহত হয়েছেন। এদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন ৫৫ হাজারের বেশি মানুষ।