পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ফের স্পাইসজেট বিভ্রাট। বিগত কয়েকদিন ধরেই ধারাবাহিকভাবে গন্ডোগোলের কারণে এই মুহূর্ত খবরের শিরোনামে স্পাইসজেট। ফের যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ল স্পাইসজেটের বিমানে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আর উড়তেই পারল না বিমানটি। ম্যাঙ্গালুরু থেকে দুবাই হয়ে দেশে ফেরার কথা ছিল স্পাইসজেট বিমানের। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দুবাই থেকে আর ফিরতে পারল না বিমানটি। কারণ যাত্রী নিরাপত্তার কথা ভেবে বিমানটিকে ওড়ার অনুমতিই দিলেন না ইঞ্জনিয়াররা।
ভারতের অসামরিক বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ জানিয়েছে, ১১ জুলাই স্পাইসজেটের বি ৭৩৭ বিমানটির নোজ হুইলে গোলমাল ধরা পড়ায় দুবাই থেকে বিমানটিকে দেশে ফেরার অনুমতি দেননি ইঞ্জিনিয়াররা। যাত্রী নিয়ে বিমান অবতরণের পর পরীক্ষার সময় দেখা যায়, বিমানের সামনের চাকা বা নোজ হুইলটির যান্ত্রিক ত্রুটি রয়েছে। নোজ হুইলটি স্বাভাবিকের থেকে কিছুটা বেশি চাপা। এর পরেই ইঞ্জিনিয়াররা শেষ মুহূর্তে বিমান ওড়ার অনুমতি বাতিল করে দেন। তবে যাত্রীদের কোনও অসুবিধা হয়নি। তাদের উদ্ধারে দ্রুত একটি বিমান পাঠানো হয় দুবাইতে। সেই বিমানে করেই যাত্রীরা তাদের গন্তব্যে ফিরে আসেন।
তবে স্পাইসজেট-এর পক্ষ থেকে বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটি সম্পর্কিত কোনও বিবৃতি পেশ করা হয়নি।
মঙ্গলবার ডিজিসিএ জানিয়েছে, তারা এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বার বার স্পাইসজেট-এর এই বিমান বিভ্রাটের কারণে যাত্রী সুরক্ষা প্রশ্নের মুখে। গত তিন মাসে স্পাইসজেটের বিমানে ১২টি যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনা ঘটেছে। গত ২৪ দিনে এই নিয়ে ৯ বার যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ল স্পাইসজেটের বিমানে। এর আগে গত ৫ জুলাই স্পাইসজেটের তিনটি বিমানে বিভিন্ন যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিপত্তি দেখা দেয়। তারপরই ডিজিসিএ-র তরফে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয় স্পাইসজেটকে।
ডিজিসিএ তার বক্তব্যে জানায়, ‘নিরাপদ, দক্ষ ও নির্ভরযোগ্য বিমান পরিষেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে স্পাইসজেট।’ এই পরিস্থিতিতে ঘটনাগুলির ব্যাখ্যা করে নোটিশ পাঠানো হয় স্পাইসজেট কর্তৃপক্ষকে। তিন সপ্তাহের মধ্যে এই নোটিশের জবাব তলব করা হয় সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে। আর এরই মধ্যে ফের যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ল স্পাইসজেটের বিমানে।