পুবের কলম প্রতিবেদক: ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি ও বন্ধুত্বের বার্তা দিয়ে কলকাতায় ৭৩তম চিনা জাতীয় দিবস উদযাপন করল চিনা কনস্যুলেট। এ দিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত চিনা প্রতিনিধিরা জানান, চিনা কনস্যুলেট ভারত-চিন সম্পর্ক উন্নয়নে আরও বেশি কাজ করতে চায়। সম্প্রতি গণপ্রজাতন্ত্রী চিনের ৭৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে চিনা কনস্যুলেটের তরফে কলকাতায় এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উপস্থিত ছিলেন চিনা কনস্যুলেটরের কনসাল জেনারেল ঝা লিউ, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিনিধি অনুরাগ শ্রীবাস্তব (আইএএস), ললিত কলা অ্যাকাডেমির প্রাক্তন চেয়ারম্যান কল্যাণ কুমার চক্রবর্তী, বিজু জনতা দলের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়দর্শী মিশ্র, স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রাক্তন অধিকর্তা মনোমীত সিং গোইন্দি, কলকাতা এমএম আইসি সন্দীপন সাহা, অল ইন্ডিয়া ওভারসিজ চাইনিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি চেন ইয়াওহুয়া।
বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশের এক সুন্দর সহাবস্থানে এ দিনের অনুষ্ঠানকে সাজানো হয়েছিল। ঝা লিউ ভারত ও চিন দুই দেশের সংহতি ও সহযোগিতার বিষয়টিতে জোর দেন।
তিনি বলেন, সুপ্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন বহনকারী দুই দেশের রয়েছে প্রাচীন ঐতিহ্য। বর্তমান বিশ্ব অর্থনীতিতে দু’টি দেশই নতুন পথের দিশারি হিসেবে উঠে আসছে। দুই দেশই জি ২০, ব্রিকস, এসসিও-র মতো গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনের সদস্য। তাই সাধারণ উন্নয়ন ক্ষেত্রগুলিতে এই দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করলে তা এশিয়া-সহ গোটা বিশ্বে তাৎপর্য বহন করবে।
ঝা লিউ কোভিড পরিস্থিতিতে চিন ও ভারতের পূর্বাঞ্চলের মানুষের পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে করা লড়াইকে কুর্নিশ জানান। তিনি বলেন, কোভিড সব পথ বন্ধ করে দিচ্ছিল। কিন্তু ভারতের পূর্বাঞ্চলের মানুষের ইচ্ছেশক্তি আর চিনা কনস্যুলেট জেনারেলের অদম্য প্রয়াসে সে-সময় কাজ করা সম্ভব হয়েছে। আগামী দিনেও চিনা কনস্যুলেট জেনারেল ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির জন্য কাজ করতে চায়। এটি ভারত ও চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতিতে সহায়ক হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য অতিথিবৃন্দ গণপ্রজাতন্ত্রী চিনা কনস্যুলেটের সদস্যদের অভিনন্দন জানান। তাঁদের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানানো হয়। পাশাপাশি ভারত-চিন সম্পর্কের উন্নতির জন্য চিনা কনস্যুলেট জেনারেলের কাজেরও প্রশংসা করেন তাঁরা। এ দিন উপস্থিত সকলেই সহমত পোষণ করেন যে, ভারত ও চিন বহু ক্ষেত্রেই বৃহত্তর অর্থে সম-স্বার্থ বহন করে।
আগামী দিনে একযোগে পারস্পরিক সহযোগিতায় ভিত্তিতে এইসব ক্ষেত্রের কাজগুলিকে এগিয়ে নিয়ে গেলে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও বাড়বে। পাশাপাশি বহু ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও গভীর হবে। অনুষ্ঠানের একেবারে শেষ চমক ছিল লায়ন ডান্স। চিনের ঐতিহ্যবাহী এই নাচে অংশ নেয় কলকাতা চাইনিজ লায়ন ডান্স গ্রুপ। এ ছাড়া চিনের উন্নয়ন, মনোরম নৈসর্গিক দৃশ্যের ভিডিয়ো প্রদর্শনের ব্যবস্থাও ছিল। এ দিনের অনুষ্ঠানের নানারকম বইয়ের সম্ভার অনেকের মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল।