পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: জেরুসালেমে একটি সিনাগগের (ইহুদি উপাসনালয়) বাইরে বন্দুক হামলা চলেছে। এতে কমপক্ষে ৭জন নিহত এবং ৩জন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটে পূর্ব জেরুসালেমের নেভে ইয়াকভের কাছে। হামলাকারী পূর্ব জেরুসালেমের বাসিন্দা বলে জানায় তেল আবিব। সে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে।
শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত সোয়া ৮টায় এই হামলা হয়। হামলাকারীকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে বর্ণনা করেছে পুলিশ। এই ঘটনার পর জেরুসালেম ও তার আশপাশের এলাকা থেকে ৪২জনকে গ্রেফতার করেছে ইহুদি পুলিশ।
ইসরাইলি পুলিশ কমিশনার কবি শাবতাই জানান, গত কয়েক বছরের মধ্যে সিনাগগে চালানো ভয়াবহ হামলাগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। জানা গেছে, ওই সিনাগগে এক প্রার্থনা অনুষ্ঠানে সমবেত হয়েছিলেন ইহুদিরা। প্রার্থনা শেষে তারা যখন বেরিয়ে আসছিলেন, তখন বন্দুকধারী গুলি করতে শুরু করে। এ সময় পুলিশের গুলিতে হামলাকারী নিহত হয়। তবে এই হামলার সঙ্গে কোনও দলের যোগ রয়েছি কিনা তা এখনও জানতে পারেনি ইসরাইল।
ইসরাইলের মিত্র দেশ, ব্রিটেন, পোল্যান্ড, জার্মানি, সুইডেন, সার্বিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, নর্থ ম্যাসিডোনিয়া, স্লোভেনিয়া, চেক রিপাবলিক, ইতালি ও জাপান এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সিনাগগে হামলার ঘটনায় ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে। কারণ ইসরাইলি সরকার এই হামলার জন্য ফিলিস্তিনি সংগঠনগুলিকেই দায়ী করার চেষ্টা করবে। গাজায় ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম বলেন, শুক্রবারের এই হামলা ছিল ইসরাইলি দখলদারদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। কারণ এর আগে দখলদাররা জেনিন শরণার্থী শিবিরে হামলা চালায় ও ৯জন নিরীহ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে। এরপর গাজা উপত্যকায় হামাসের ঘাঁটি লক্ষ্য করে বিমান হামলাও চালানো হয় ইসরাইলের ‘যুদ্ধবাজ’ প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর নির্দেশে। জবাবে ইসরাইল লক্ষ্য করে রকেট নিক্ষেপ করে হামাসের সদস্যরা।