পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক:আয়ুষ্মান ভারত-প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য প্রকল্পের (পিএমজেএওয়াই) অডিটে ধরা পড়ল অনিয়ম যা ক্যাগ রিপোর্টের মাধ্যমে সামনে এসেছে। ২০১৮ সালে এই স্বাস্থ্য বীমা চালু হয়েছিল গরীব ও দুর্বল শ্রেণির মানুষদের জন্য ৫ লক্ষ টাকার বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের জন্য। ভারতের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিট জেনারেলের রিপোর্ট বলছে, ডাটাবেসে ইতিমধ্যেই মৃত ঘোষণা করা মোট ৩৪৪৬ রোগীর চিকিৎসার জন্য ৬.৯৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ক্যাট রিপোর্ট জানাচ্ছে, যে সমস্ত রোগীর নাম এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য পাঠানো হয়েছিল, তাদের ইতিমধ্যেই স্কিমের লেনদেনের ব্যবস্থাপনা সিস্টেমে (টিএমএস) মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
অডিটে দেখা গেছে, ৩,৪৪৬ রোগীর সঙ্গে সম্পর্কিত ৩,৯০৩ জন এই ধরনের দাবি ছিল এবং সারা দেশের হাসপাতালগুলিতে মোট ৬.৯৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে কেরলে ‘মৃত’ রোগীর সংখ্যা সর্বাধিক ৯৬৬ জন, যাদের দাবি মতো পরিশোধ করা হয়েছে। এদের ‘চিকিৎসার’ জন্য ২,৬০,০৯,৭২৩ টাকা দেওয়া হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে এমনই ৪০৩ রোগীকে ১,১২,৬৯,৬৬৪ টাকা দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ছত্তিশগড় যেখানে ৩৬৫ রোগীকে বিনামূলে চিকিৎসার জন্য ৩৩,৭০,৯৮৫ টাকা দেওয়া হয়েছে। ক্যাগ রিপোর্টে বলা হয়েছে ডেস্ক অডিটের সময় (জুলাই ২০২০) প্রথমে ন্যাশনাল হেলথ অথরিটিকে (এনএইচএ) রিপোর্ট করেছিল আইটি সেই রোগীদের জন্য প্রাক অনুমোদনের অনুরোধগুলি মকুব করেছে যারা ইতিমধ্যেই এই স্কিমের অধীনে চিকিৎসার সময় ‘মৃত’ বলে ঘোষণা করা হয়।
ক্যাগ রিপোর্ট অনুসারে চেকগুলির প্রয়োজনীয় স্ক্রুটিনি করা হয়নি, তাই এনএইচ এ আগস্টের ২০২২-এ বলে অপারেশনাল কারণে সিস্টেমে ভর্তির শেষ তারিখ শিথীল করা হয়েছে। ক্যাগের মতে এই উত্তর যুক্তিযুক্ত নয়, কারণ প্রাক অনুমোদন সূচনা, দাবি জমা, চূড়ান্ত দাবি অনুমোদনের জন্য স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ দ্বারা চিকিৎসার সময় ইতিমধ্যেই মৃত হিসেবে দেখানো সুবিধাভোগীরা, যা আবেদনের ত্রুটিগুলি নির্দেশ করে, এবং ব্যবহারকারীর স্তবে অপব্যবহারের জন্য সংবেদনশীল করে তোলে।