পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: খরা থেকে অতিবৃষ্টি, ঋণের চাপ, ফসলের ক্ষতি, মানসিক অবসাদের কারণে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে কৃষক আত্মহত্যার সংখ্যা। সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ৭ মাসে কর্নাটকে সবমিলিয়ে ৪৫৬ জন কৃষক আত্মঘাতী হয়েছেন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যের ২৩৬ টি তালুকের (মহাকুমা) মধ্যে ২২৩ টি খরাপ্রবণ বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। খরার মুখে আশানুরূপ ফলন না হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হন কৃষকরা। চাষের জন্য গৃহীত ঋণের টাকা সময়ের মধ্যে পাওনাদারদের শোধ করতে না পেরে আত্মহত্যার মতো চরম সিদ্ধান্ত বেছে নিয়েছেন তারা। মামলার তদন্ত করে জানা গেছে, নথিভুক্ত এই ৪৫৬ জন কৃষক আত্মহত্যার মামলায় ৩৫৪ টি মামলা ক্ষতিপূরণের যোগ্য।
সরকারি সূত্রে খবর, ক্ষতিপূরণ যোগ্য ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার’কে মাথাপিছু ৫ লক্ষ টাকা প্রদান করা হবে। সঙ্গে মাসিক ২ হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, আত্মঘাতী কৃষকদের মধ্যে ২৫৯ জন উত্তর কর্নাটকের। তার মধ্যে শুধু হাভেরি জেলায় ৬১ , বেলগাঁও’তে ৫৬ এবং চিক্কামগালুরে ৪৯ জন রয়েছে। গত আর্থিক বছরে (২০২২) মোট ৯৬৮ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। তাঁদের মধ্যে ৮৪৯ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার’কে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। ধারাবাহিক কৃষক আত্মহত্যার ঘটনায় ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্কের কাছে ঋণ মুকুবের আর্জি জানিয়ে চিঠি লিখেছে কৃষক সংগঠনগুলি। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। তিনি জানিয়েছেন কৃষকদের জন্য ব্যাঙ্ক লোনের সুদ মুকুব করা হবে।