জেনেভা, ৫ মে: যুদ্ধ-জলবায়ু পরিবর্তন এবং অর্থনৈতিক সংকটের কারণে বহু মানুষের রুজি-রুটি হারিয়ে গিয়েছে। এ কারণে গত বছর ক্ষুধার মুখোমুখি হওয়া মানুষের সংখ্যা ৯ কোটি ৩০ লক্ষে পৌঁছেছে। তীব্র ক্ষুধার শিকার বিশ্বের ৪ কোটিরও বেশি মানুষ। রাষ্ট্রসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের সংস্থাটি বলছে, ২০২১ সালে আরও প্রায় ৪ কোটি মানুষকে ‘তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায়’ ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এই সমস্যার মুখোমুখি হওয়া ৫৩ দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কঙ্গো, ইথিওপিয়া, ইয়েমেন এবং আফগানিস্তান। গত বছরের আগস্টে আফগানিস্তানে তালিবান ক্ষমতায় আসার পর ব্যাপক অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেয়, যে কারণ দেশটির লক্ষাধিক মানুষ ক্ষুধার সম্মুখীন। একজন ব্যক্তির পর্যাপ্ত খাদ্য না পাওয়া তার জীবন অথবা জীবিকাকে তাৎক্ষণিক বিপদে ফেলে। আর এই পরিস্থিতিকে ‘তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা’ হিসাবে উল্লেখ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। রাষ্ট্রসংঘের সংস্থা এফএও বলেছে, এই ক্ষুধা মানুষকে দুর্ভিক্ষের দিকে পরিচালিত করতে পারে এবং এর কারণে ব্যাপক মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। ২০১৬ সালে এফএও, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর থেকে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সংস্থা বলছে, ইউক্রেন যুদ্ধ খাদ্য সংকট এবং দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছানো দেশগুলোর ওপর সবচেয়ে বিধ্বংসী প্রভাব ফেলেছে। বিশ্বজুড়ে গম এবং সূর্যমুখী তেল থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় কৃষি পণ্যের প্রধান রফতানিকারক ইউক্রেন এবং রাশিয়া। এর আগে এফএও বলেছিল, ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতের কারণে গত মার্চে বিশ্বে খাদ্যপণ্যের দাম সর্বকালের সর্বোচ্চে পৌঁছায়।