পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: চলতি বছরের শেষের দিকে চার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। এই রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা, ছত্তিশগড়। ইতিমধ্যেই হই-হই করে লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাশ হয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল। কবে অবশ্য বিল আইনে পরিণত হবে তা ঠিক নেই। ভোট বাক্স ভরাতে কোনও কসুর করছে না মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। চার রাজ্যে ভোট প্রচারে গিয়ে উন্নয়নের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন স্বয়ং মোদি। আর সেই ভোট ব্যাংক ভরাতে পদক্ষেপ নিতে দেখা গেল মধ্যপ্রদেশকে।
ভোটের আগে মহিলাদের মন জয় করতে বড়সড় ঘোষণা করল মধ্যপ্রদেশ সরকার। সরকারি চাকরিতে সরাসরি নিয়োগে ৩৫ শতাংশ মহিলা সংরক্ষণের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। অর্থাৎ রাজ্যের ৩৫ শতাংশ সরকারি চাকরি এখন সরাসরি নিয়োগের পর্যায়ে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। তবে ৩৫% কোটা বন বিভাগ ছাড়া সকল সরকারি দফতরে প্রযোজ্য হবে।
মধ্যপ্রদেশ সরকারের এই ঘোষণার পর সাধারণ প্রশাসন বিভাগ এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য মধ্যপ্রদেশে বিজেপির প্রচারাভিযানের একক-বড় ফ্যাক্টর মহিলা-কেন্দ্রিক প্রকল্পগুলি।প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশ প্রথম রাজ্য যা পঞ্চায়েত এবং নগর সংস্থার নির্বাচনে মহিলাদের জন্য ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ চালু করেছিল।
এছাড়াও পুলিশে মহিলাদের জন্য ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ রয়েছে। রাজ্য কোনও মহিলার নামে সম্পত্তির রেজিস্ট্রি করার ক্ষেত্রে ছাড়ের শুল্কও দেয়। বিজেপি নেতৃত্বাধীন শিবরাজ সিং চৌহানের সরকার বিবাহের জন্য একটি প্রকল্প চালু করেছিল, যার নাম মুখ্যমন্ত্রী কন্যাদান যোজনা। এছাড়াও রয়েছে লাডলি বেহনা যোজনা, যার অধীনে যোগ্য মহিলারা প্রতি মাসে ১২৫০ টাকা পান।