পুবের কলম প্রতিবেদক: কুতুবে বাংলা বড় হুজুর সৈয়েদেনা মাওলানা সৈয়দ শাহ গোলাম মোস্তফা হযরত আলকাদেরীর ৩১তম বাৎসরিক উরস মুবারক তাঁর সাহেবজাদা গদ্দিনশিন শাহজাদা হযরত মাওলানা সৈয়দ শাহ জেলাল মুরশেদ আলকাদেরী (পীর সাহেব মেদিনীপুর খানকাহ শরীফ ও কলকাতা দরবার শরীফ)-এর তত্ত্বাবধানে ১৪-১৫ই অক্টোবর তাঁর বাসভবন কলকাতা দরবার শরীফে সাড়ম্বরে উদযাপিত হয়। এই অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে শত শত ভক্ত ও শিষ্যের সমাগম হয়।
পবিত্র কুরআন শরীফ তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন কলকাতা খানকাহ শরিফের পীরে তরিকত সৈয়দ শাহ ফাদিল ইরশাদ রাশুদ আলী আলকাদেরী। তিনি এই মজলিসে বক্তব্যও রাখেন। অনুষ্ঠানে মিলাদ শরীফ পাঠ করেন পীরজাদা সৈয়দ শাহ মামুন মুরশেদ আলকাদেরী, মাওলানা সৈয়দ আতাউল বারী আলকাদেরী, কাদেরী টাইম্স-এর সম্পাদক সৈয়দ মিনহাজ হুসেন আল হুসেনি।
পবিত্র এই উরস শরীফ উপলক্ষে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, শান্তি ও জাতীয় ঐক্য শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। ওই সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অশোক কুমার গাঙ্গুলি। তিনি তাঁর মূল্যবান বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিবর্গের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি, বিধায়ক ও পশ্চিমবঙ্গ ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবদুল গনি, কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মীর দারাশেকো, প্রাক্তন সাংসদ ও পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান আহমদ হাসান ইমরান, আরামবাগের সাংসদ অপরুপা পোদ্দার, পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ড. আবু তাহের কামরুদ্দিন, বঙ্গীয় সংখ্যালঘু বুদ্ধিজীবী মঞ্চের সভাপতি অধ্যাপক ওয়ায়েজুল হক, কলকাতা হাই কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ নাসিরুল হোসেন, তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সহ সাধারণ সম্পাদক এহতেসামুল হক, মৈনান দরগাহ শরিফের পীরজাদা সৈয়দ মাজহারুল হক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল অতিথিবর্গ তাদের বক্তব্যে বড় হুজুরের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন।
মাওলানা আজাদ কলেজ কলকাতার আরবি বিভাগের প্রধান পীরজাদা অধ্যাপক মাওলানা ড. সৈয়দ মুস্তাফা মুরশেদ জামাল শাহ আলকাদেরী সাহেবও বক্তব্য রাখেন। অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা বাকিবিল্লাহ রিজভী কাদেরি, মাওলানা সাব্বির আলম মিসবাহি, মাওলানা মনিরুল ইসলাম, মাওলানা নুর মুহাম্মদ কাদেরি প্রমুখ। সবশেষে পীরসাহেব তাঁর ওয়াজে ভক্তবৃন্দকে হেদায়েতের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন নির্দেশ প্রদান করেন এবং মানবজাতির কল্যাণের জন্য বিশেষ দোয়া করেন।