পুবের কলম প্রতিবেদক : ফিলিস্তিনিদের উপর ফের আগ্রাসন শুরু করেছে দখলদার ইসরায়েল। এবার অধিকৃত পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলের জেনিন শরণার্থী শিবিরে দুই ফিলিস্তিনি যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে জায়নবাদী দেশটি। বেথেলহেমের কাছে এক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয় ছুরি মেরে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, জেনিন ক্যাম্পে ইসরায়েলি সেনাদের ব্যাপক হামলায় ২ ফিলিস্তিনি তরুণ নিহত হয়েছেন। এছাড়া গুলিতে অন্তত ১৪ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। নিহতদের বয়স ১৭ ও ২৩ বছর। এর আগে ইসরায়েলের তেল আবিবে বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ৫ জন ইহুদি নিহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ইসরাইলি সৈন্যরা ফিলিস্তিনিদের গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন দিক থেকে জেনিন শহরের শরণার্থী শিবিরে প্রবেশ করেছিল। তখন এই ঘটনা ঘটে। এতে তিন ফিলিস্তিনি নিহত হয় এবং বেশ কয়েক জন আহত হয়। শরণার্থী শিবিরের এক বাসিন্দা বলেন, ইসরাইলি সেনারা ফিলিস্তিনিদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের আটক করেছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলের সেনাবাহিনী জেনিন পাবলিক হাসপাতালের কাছে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঢুকে যায়। ফলে জরুরি চিকিৎসার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়। ইসরাইলি সেনাবাহিনী লুটতরাজ চালায় বলেও অভিযোগ। ফিলিস্তিনি দিয়া হামারশেহ-এর বাড়িতেও তার লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার তেল আবিবের পূর্বে বেনি ব্র্যাকের অর্থোডক্স শহরে গোলাগুলি চলেছিল। তাতে একজন পুলিশ সহ পাঁচজন ইসরায়েলির মৃত্যু হয়েছিল।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট বলেছেন, আসলে ভয় দেখিয়ে বিরত করার জন্য হামারশেহের বাড়ি ‘ধ্বংসের জন্য’ প্রস্তুত করা হয়েছে। পবিত্র রমযান মাস সামনে। তার ঠিক আগে ইসরাইল ফের একদফা জুলুম চালানোর চেষ্টা করছে। অধিকৃত পশ্চিম তীরে গত দুই সপ্তাহ ধরে তারা তীব্র উত্তেজনা বাধানোর চেষ্টা করছে। তার মধ্যেই ঘটল এই হত্যাকাণ্ড।