পুবের কলম প্রতিবেদক: বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব যদি দুর্গাপুজো হয় তবে, বইপ্রেমীদের কাছে সব থেকে বড় উৎসব হল আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। হাতে আর মাত্র ৫০ দিন। তারপরেই শুরু হতে চলেছে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। তবে, এবার আর জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে নয়। বরং, বেশ খানিকটা এগিয়ে আনা হয়েছে বইমেলা। পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের তরফে মঙ্গলবার কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানানো হয়েছে, সল্টলেকের বইমেলা প্রাঙ্গণে ৪৭তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার উদ্বোধন হবে ১৮ জানুয়ারি, মেলা চলবে ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত।
এই মেলার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যিক ও গুণীজনেরা। একইসঙ্গে, এবছরের বইমেলা খানিকটা এগিয়ে আনার কারণ হিসাবে গিল্ডের তরফে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ২০২৪ কয়েকদিন এগিয়ে নিয়ে আসতে হয়েছে। এর প্রধান কারণ, বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের বোর্ড পরীক্ষা শুরু হয়ে যাচ্ছে জানুয়ারির শেষ থেকে। মেলার এই সময় পরিবর্তন বইপ্রেমীদের কাছে সুখবর বলেই মনে করা হচ্ছে। তাঁরা দুটি শনিবার ও দুটি রবিবার ছাড়াও এবার পাবেন ২৩ ও ২৬ জানুয়ারি ছুটির দিন।
গিল্ডের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, এবছর থিম কান্ট্রি হচ্ছে গ্রেট ব্রিটেন। থাকছে আমেরিকা, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, পেরু ও কলম্বিয়ার মতো দেশ। প্রায় ১২ বছর পর এবার আসছে জার্মানি। এছাড়া, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, পঞ্জাব, তামিলনাড়ু, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, বিহার, অসম, ঝাড়খন্ড, তেলেঙ্গানা, কেরালা, উড়িষ্যার মত ভারতের অন্যান্য রাজ্যগুলিও থাকছে।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব ও উত্তর পূর্ব ভারতের ব্রিটিশ উপরাষ্ট্রদূত অ্যান্ড্রু ফ্লেমিং এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের ডিরেক্টর ডঃ দেবাঞ্জন চক্রবর্তী। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন গিল্ড-এর সভাপতি ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় ও গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এবং সুধাংশু শেখর দে। গিল্ডের তরফে জানানো হয়, এবছরের কলকাতা বইমেলার অন্যতম আকর্ষণ হবে তিনদিনের কলকাতা লিটারেচার ফেস্টিভ্যাল, কেএলএফ। অনুষ্ঠিত হবে ২৬ থেকে ২৮ জানুয়ারি, ২০২৪। একইসঙ্গে গিল্ডের সভাপতি জানান, গত বছর ৯৫০টি স্টল হয়েছিল এবার আরও ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বাড়বে স্টলের সংখ্যা।
তিনি আরও জানান, ২০২৩ সালের বইমেলায় এসেছিলেন প্রায় ২৬ লক্ষ মানুষ এবং বই বিক্রির পরিমাণ ছিল ২৫ কোটি। এবছরও ২ হাজারের বেশি প্রকাশক আবেদন করেছেন। ৩০০-র বেশি লিটল ম্যাগাজিন আবেদন করেছে কিন্তু, ময়দানে এত জায়গা না থাকায় সবাইকে অনুমোদন দেওয়া সম্ভব হয়নি।
পাশাপাশি, গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক সুধাংশুশেখর দে জানান, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন মণিশঙ্কর মুখার্জী, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, বাণী বসুর মত বিশিষ্ট সাহিত্যিকেরা।