বিশেষ প্রতিবেদনঃ কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিকে জর্ডান ভিত্তিক ‘দ্য মুসলিম ৫০০’-এ সর্বাধিক প্রভাবশালী মুসলিম হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবছরও এই প্রতিবেদনে ৫০ জন প্রভাবশালী মুসলিম ব্যক্তিত্বের তালিকা করা হয়েছে। আর এবছর এই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন কাতারের আমির। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে সউদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল-আজিজ এবং ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেই রয়েছেন। গত বছর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান প্রথম স্থানে ছিলেন।
স্বাধীন গবেষণা সংস্থা রয়্যাল ইসলামিক স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সেন্টারের দ্বারা প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে, কাতারের নেতার তীক্ষ্ণ কূটনীতি, বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও অভিবাসী শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে অগ্রণী ভূমিকার কথা বলা হয়েছে। ২০১৭ সালে জিসিসি সংকটের দিনগুলিতে দোহার স্থিতিস্থাপকতাও বিশ্বব্যাপী আলোচিত হয়েছিল। সেসময় সউদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, বাহরাইন এবং মিশর কাতারের ওপর একটি অবৈধ বিমান, স্থল এবং সমুদ্র অবরোধ আরোপ করেছিল। তবে কাতারের পাশে থেকেছিল ইরান ও তুরস্ক।
সউদি আরব অভিযোগ তুলে বলেছিল, সন্ত্রাসকে সমর্থন করে কাতার। এই দাবিকে অবশ্য তখনই ভিত্তিহীন বলে এর নিrদা জানিয়েছিল দোহা। সউদি অবরোধের আগে কাতার তার খাদ্যের ৮০ শতাংশেরও বেশি আমদানি করত। আর এই অবরোধের জেরে ধীরে ধীরে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠেছিল দেশটি। তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) রফতানিকারক হিসাবেও কাতার বিশ্বে প্রভাব বিস্তার করেছে। ২৮.৭৫ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্পের প্রথম ধাপের অধীনে, কাতার তার এলএনজি উৎপাদন ২০২৫ সালের মধ্যে ৭৭ মিলিয়ন টন থেকে ১১০ মিলিয়ন টনে উন্নীত করবে। প্রকল্পের দ্বিতীয় ভাগে ২০২৭ সালের মধ্যে এলএনজি উৎপাদন ১২৬ মিলিয়ন টনে উন্নীত করবে কাতার।