পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে বর্বরোচিত হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি বাহিনী। এরইমধ্যে ভূখণ্ডটির একটি শরণার্থী শিবির ও বাড়িতে হামলা চালিয়েছে ইহুদিবাদী দেশটির সশস্ত্র বাহিনী। পৃথক দুই হামলায় নিহত হয়েছেন ১৮ জন।
বুধবার সকালে গাজার দক্ষিণে রাফাহ এলাকায় ইয়াবনা শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছেন সাতজন, এর মাঝে চারজনই শিশু। মঙ্গলবার বিকেলে মধ্য গাজায় মাগাজি শরণার্থী শিবিরে নিহত হয়েছেন এগারো জন। ইসরায়েলের এই হামলার লক্ষ্য ছিলো ওই শিবিরের শিশুদের একটি খেলার মাঠ। ইরানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে গাজার মাগাজি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় শিশুসহ ১১ জন নিহত হয়েছে । অপর এক বিমানের হামলায় রাফাহ শহরের ইয়াবনা শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে চার শিশুসহ সাতজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকে ১০ লক্ষেরও বেশি ফিলিস্তিনি রাফাহ শহরে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
এদিকে কয়েক সপ্তাহ আগে ছেড়ে যাওয়া উত্তর গাজায় কিছু এলাকায় আবারও ফিরে এসেছে ইসরাইলি ট্যাঙ্ক। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বেইত হানুনে কয়েকটি স্কুল যেখানে বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলো আশ্রয় নিয়েছে; ইসরাইলি ট্যাঙ্ক তা ঘিরে রেখেছে। দখলদার সৈন্যরা স্কুল এবং আশেপাশের বাড়িগুলো থেকে সমস্ত পরিবারকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।গত অক্টোবরে এখান থেকেই স্থল আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। এই সংঘাতে পূর্বে এই এলাকায় প্রায় ৬০ হাজার লোক বসবাস করতো যা তার কৃষি সমৃদ্ধির জন্য ফলের ঝুড়ি হিসেবে পরিচিত ছিল। যা বর্তমানে ধ্বংস স্তূপে পরিণত হয়েছে। ইসরাইলি সৈন্যরা এলাকাটি থেকে সরে গেলে ককয়েক সপ্তাহ ধরে বেইত হানুন এবং জাবালিয়ার পরিবার গুলো নিজ এলাকায় ফিরতে শুরু করেছিল। তারই মাঝে শুরু হল ‘বর্বরদের’ হামলা।