পুবের কলম প্রতিবেদক: তিনবার কাউন্সেলিং সত্বেও মেডিক্যাল পিজি আসনে ১ হাজার ৪৪৫টি আসন খালি রয়েছে। সর্বভারতীয় কোটার অধীনে ৮৬২টি এমএস, এমডি এবং ডিপ্লোমেট অফ ন্যাশনাল বোর্ড (ডিএনবি) আসনগুলি এখনও পূরণ হয়নি। রাজ্য কোটার অধীনে আসন রয়েছে ৫৮৩টি। এই আসন পূরণে এবার এখন চতুর্থ দফার কাউন্সেলিং করার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক।
এদিকে এই আসনগুলি খালি থাকায় প্রকৃত কারণ খুঁজতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক। ইতিমধ্যে দফতরের তরফে পর্যালোচনাও শুরু হয়েছে। এই নিয়ে একটি কমিটি গঠনও করা হয়েছে। অন্ধ্র প্রদেশে সর্বাধিক ২২৬টি, উত্তর প্রদেশে ১০৮টি এবং তামিলনাড়ুতে ৮০টি আসন শূন্য রয়েছে।
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সর্বভারতীয় সভাপতি ডা. শরদ কুমার আগরওয়াল বলেন, এটা একটি সমস্যা। এই সমস্যার সমাধানও আছে। তাঁর পরামর্শ, একটি সাধারণ প্ল্যাটফর্ম এবং সফটওয়্যারের মাধ্যমে উভয় কোটার অধীনে ভর্তির জন্য কাউন্সেলিং একত্রিত করা। এতে শিক্ষার্থীদের ভর্তিতের স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে আরও সুবিধা হবে। তাছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর কিছু ‘চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স থাকা উচিত বলেও পরামর্শ দেন তিনি।
বেসরকারি কলেজে যাতে নির্ধারিত ফি-এর চেয়ে বেশি আসন বিক্রি না হয়, সেজন্য শিক্ষার্থীদের নিজেদের পর্যায়ে ভর্তির সুযোগের দাবি তুলেছেন তিনি। এদিকে, ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. আভিরাল মাথুর বলেছেন, কখনও কখনও, প্রার্থীরা টিয়ার ২ বা ৩ শহরের বেসরকারি হাসপাতালে ডিপ্লোমেট অফ ন্যাশনাল বোর্ডের (ডিএনবি) আসন নিতে আগ্রহী হয় না, কারণ তারা ভাল প্রশিক্ষণের সুযোগ দেয় না বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, সারা দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজে এমএস, এমডি তে ৩০,২১১টি আসন রয়েছে এবং ৩০,২১১টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে রয়েছে।