পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ইউক্রেন এখনই বশ্যতা স্বীকার না করলে হামলা থামবে না জানিয়ে দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেই মতোই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে কামান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে রাশিয়ার সেনা। এতে বহু প্রাণহানি হচ্ছে লক্ষাধিক মানুষ এখন গৃহহীন। মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার মতো এবার উন্নত ইউরোপের বুকেও মানবিক সংকটের শুরু হতে চলেছে। তবে রাশিয়ার এই পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী শুধু সামালোচনা ও নিন্দার জন্ম দিয়েছে। যুদ্ধ বন্ধ করার ডাক দিয়ে রাশিয়াতেই হাজার হাজার পুতিনের বিরোধিতায় পথে নেমেছেন। বিভিন্ন অঞ্চলে যুদ্ধবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে পুলিশ কঠোর হাতে দমন করেছে এদের গ্রেফতার হয়েছে অন্তত ১৪০০ বিক্ষোভকারী। প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করার পর সারাদেশের ৫১টি শহরে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে।
এরমধ্যে রাজধানী মস্কো থেকে ৭০০ জনেরও বেশি এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে প্রায় ৩৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
রাশিয়া এমনিতেই বিরোধী দমনে খুবই তৎপর। বিরোধী দল-মত পোষণকারীকে নানা রকম নির্যাতনের মুখোমুখি হতে হয় এদেশে। কিন্তু এখন রাশিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে দেশের মানুষ। কারণ তারা শান্তির পক্ষে যুদ্ধ চায় না কেউ। দেশটির বিশিষ্ট মানবাধিকার আইনজীবী লেভ পোনোমাভিভ যুদ্ধের অবসান চেয়ে একটি পিটিশন দায়েরের ঘোষণা করার পর তাতে দিন শেষে ২ লক্ষ ৮৯ হাজার মানুষ সই করেন। এদিকে ২৫০ জনেরও বেশি সাংবাদিক আগ্রাসনের নিrদা জানিয়ে একটি খোলা চিঠিতে সই করেছেন। একই রকম উদ্যোগে প্রায় ২৫০ বিজ্ঞানী স্বাক্ষর করেন। অপর এক খোলা চিঠিতে সই করেছেন মস্কোসহ অন্যান্য শহরের ১৯৪ জন পৌরসভার সদস্য।
মস্কোয় বিক্ষোভকারীদের পুশকিন স্কোয়ারের চারপাশে ’যুদ্ধ নয়’ স্লোগান দিতে দেখা গেছে। ২৩ বছর বয়সী আনাস্তাসিয়া বলেন ’আমি হতবাক। আমার আত্মীয়স্বজন ও প্রিয়জনরা ইউক্রেনে থাকেন। আমি তাদেরকে ফোনে কী বলব?’ ২৭ বছর বয়সী সভেৎলানা ভলকোভা বলেন ’আমার মনে হয় কর্তৃপক্ষ পাগল হয়ে গেছে। উল্টোপাল্টা প্রচার করে মানুষকে বোকা বানানো হয়েছে।’ রাশিয়ার বিরোধী দলীয় নেতা নাভালনি বলেন রাশিয়ান নাগরিকদের কাছ থেকে চুরি ধামাচাপা দিতে এবং দেশের অভ্যন্তরে বিদ্যমান সমস্যাগুলো থেকে তাদের মনোযোগ সরাতে ইউক্রেনের ওপর এ হামলা চালানো হয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেনের পাশাপাশি বিশ্বের বহু দেশেই ইউক্রেনে হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে মিছিল বের হচ্ছে।