পুবের কলম প্রতিবেদক: শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠু ভোট পরিচালনার জন্য রাজ্যে প্রথম দফার ভোটে নিরাপত্তার দায়িত্বে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক রাজ্য পুলিশও মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় রাজ্যের তিনটি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৯ এপ্রিল।
প্রথম দফায় উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার ওই তিন কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা রক্ষীর পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক রাজ্য পুলিশ নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, প্রথম দফায় কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জয়পাইগুড়ি কেন্দ্রে ১০ হাজারের বেশি রাজ্য পুলিশ মোতায়েন করবে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ভোটের অন্তত তিন দিন আগেই রাজ্য পুলিশের কর্মী-আধিকারিকরা পৌঁছে যাবেন উত্তরবঙ্গের কেন্দ্রগুলিতে।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই তিনটি আসনের জন্য মোট ১০ হাজার ৮৭৫ জন পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হবে। তাঁদের মধ্যে ৩,৯৫৭ জন সশস্ত্র পুলিশ থাকবেন। আগামী ১৬ এপ্রিলের মধ্যে ওই পুলিশকর্মীদের নির্দিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রথম দফার তিনটি আসনে সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য মোট ২৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই হিসেব অনুযায়ী আলিপুরদুয়ারে ৬৩ কোম্পানি, কোচবিহারে ১১২ কোম্পানি ও জলপাইগুড়িতে ৭৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার মিলিয়ে মোট বুথের সংখ্যা ৫,৮১৪টি। সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে হলে প্রতি বিধানসভা কেন্দ্রে ১৬ থেকে ১৮ কোম্পানি বাহিনী প্রয়োজন ।নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ২৭৭ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
যদিও তাঁদের সকলে এখনও রাজ্যে এসে পৌঁছতে পারেনি। প্রথম দফায় ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছিল বাংলায়। দ্বিতীয় দফায় ৫০ কোম্পানি, পরের বার ২৭ কোম্পানি এবং সর্বশেষ আরও ১০০ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করেছে কমিশন। প্রথম দফা্র তিন আসনের ভোট পরিচালনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জোয়ানদের পাশাপাশি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে রাজ্য পুলিশও।