পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ডেনমার্কের চিকিৎসকরা মানুষের মগজ চুরি করেন! এতদিন সবাই খবরটিকে গুজব মনে করতেন। তবে সম্প্রতি সব ফাঁস হয়ে গিয়েছে। বেরিয়ে এসেছে হাঁড়ির খবর। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন এক তথ্যচিত্রে এ বিষয়টি তুলে ধরেছে। সিএনএন জানায়, সম্প্রতি ডেনমার্কের একটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভূগর্ভস্থ এক ঘর থেকে বেশ কিছু মস্তিষ্ক উদ্ধার করা হয়েছে।
সেখানে একটি গোপন সংরক্ষণাগারে মস্তিষ্কগুলো বাক্সবন্দি করে রাখা ছিল। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর অভিযোগ উঠেছে, ডেনমার্কের একদল চিকিৎসক অন্তত ১০ হাজার মানসিক রোগীর মাথা থেকে মস্তিষ্ক সরিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু রোগীদের পরিবারের কাছ থেকে কোনও ধরনের অনুমতি নেননি তারা।
তথ্যচিত্রটি গত ১২ থেকে ১৩ নভেম্বর সিএনএনে প্রচারিত হয়। তথ্যচিত্রে দেখানো হয়েছে, ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে প্রায় ৩৭ বছর ধরে ডেনমার্কের চিকিৎসকরা মস্তিষ্ক সংগ্রহের কাজ করতেন। মূলত সিজোফ্রেনিয়া ও নানা ধরনের মানসিক রোগে ভোগা ব্যক্তিদের মৃত্যুর পর তাদের মস্তিষ্ক সরিয়ে নিতেন তারা।
কিন্তু তারা এ বিষয়টি পরিবারের লোকজনকে জানাতেন না। তথ্যচিত্রে দেখা যায়, ১৯৪৫ সালে ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল কারস্টেন আবিলট্রাপ নামের এক শিশু। তাকে ভর্তি করা হয়েছিল একটি মানসিক হাসপাতালে। শিশুটির মৃত্যুর পর চিকিৎসকরা তার মস্তিষ্ক সরিয়ে নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল।
সম্প্রতি ডেনমার্কের ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিশুটির মস্তিষ্ক উদ্ধার করা হয়েছে। সিএনএন বলছে, ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালে চিকিৎসকদের সিজোফ্রেনিয়া রোগটি সম্পর্কে ধারণা ছিল না। তাই এরিক স্টর্মগ্রেন ও লারুস আইনারসন নামের দুই চিকিৎসক গোপনে মস্তিষ্ক সরানোর পরিকল্পনা করেছিলেন বলে মনে করা হয়।
মরদেহের ময়নাতদন্তের সময় তারা মস্তিষ্ক সরিয়ে ফেলতেন। এরপর সেগুলো বাক্সবন্দি করা হতো। তথ্যচিত্রে বলা হয়েছে, চিকিৎসকরা গবেষণার উদ্দেশ্যে এই মস্তিষ্ক সংরক্ষণ করতেন কিনা তা জানা যায়নি। ১৯৪৫ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত ডেনমার্কের বিভিন্ন মানসিক হাসপাতালে যেসব রোগী মারা গেছেন, তাদের অর্ধেকেরই মস্তিষ্ক সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলে তথ্যচিত্রে অভিযোগ করেন ডেনমার্কের আর্থাস ইউনিভার্সিটির মেডিকেল সায়েন্সের ইতিহাসবিদ টমাস আর্স্লেভ।