পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আবগারি মামলা নিয়ে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনল ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকদের অভিযোগ, দিল্লির আপ সরকারের আনা আবগারি নীতিকে সমর্থন জানানো ও তার সুবিধা পাওয়ার জন্য ১০০ কোটি টাকার ঘুষ নেওয়া হয়েছিল। আর এই সমস্ত ডিজিটাল প্রমাণ নষ্ট করার জন্য মণীশ সিসোদিয়া সহ আরও ৩৬ জন ভিআইপি তারা প্রায় ১৪০টি মোবাইল ফোন বদল করেছিলেন।
গুজরাত ভোটের আগেই একের পর বিস্ফোরক তথ্য আপ সরকারকে ক্রমশই চাপের মুখে ফেলছে। ইতিমধ্যেই দিল্লি আবগারি মামলায় হায়দরাবাদের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার ডিরেক্টর শরথ রেড্ডিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত শরথ রেড্ডি অরবিন্দ ফার্মার ডিরেক্টর। আবগারি দুর্নীতিতে বিনয় বাবু নামক আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুইজনকেই আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ইডি সূত্রে। তাদের দুজনকে আদালতে পেশ করা হয়েছে।
সেখানেই জানানো হয়, ধৃত শরথ রেড্ডি বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ও বিভিন্ন আধিকারিকদের প্রায় ১০০ কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন। এই মামলায় দুজনেরই সক্রিয় ভূমিকা ছিল বলে দাবি ইডি আধিকারিকদের। তবে জিজ্ঞাসাবাদে দুইজনই আবগারি নীতি সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন বলেই জানিয়েছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ইতিমধ্যেই আবগারি নীতির একটি খসড়া নথিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এক আধিকারিকের কাছ থেকে। মদের ব্যবসায় ২০০ কোটির বিনিয়োগের প্রমাণও মিলেছে।
এদিকে, ইডির দাবি অস্বীকার করেছেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। তাঁর দাবি, তিনি কোনও অপরাধ করেননি। নির্দোষ।
তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বিজেপি রাজনৈতিক চরিতার্থ পূরণের জন্য তারা এই কাজ করেছেন। তবে ইডি এর আগেও একাধিকবার তার বাড়ি, ব্যাঙ্ক একাধিক জায়গায় হানা দেয়। তবে কোথাও কিছু প্রমাণ মেলেনি। এই ঘটনায় মণীশ সিসোদিয়ার পাশে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন আপ সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বিজেপি সরকারের তরফে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, গুজরাত ভোটের আগে আপ নেতাদের নিশানা করার জন্য।