পারিজাত মোল্লাঃ ‘এটা কি জমিদারি? নাকি উত্তরাধিকার সূত্রে এ কাজ!’ ঠিক এইভাবেই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে প্রশ্নের মুখে পড়লো রাজ্য মাদ্রাসা বোর্ড।প্রধান বিচারপতির এহেন প্রশ্নে চুপ রাজ্যের কৌসুলি। নেই কোন উত্তর তাঁর (রাজ্যের কৌসুলি) কাছে। চলতি সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে উঠেছিল রাজ্য মাদ্রাসা বোর্ড এর নির্বাচন সংক্রান্ত মামলা।
দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে রাজ্য মাদ্রাসা বোর্ডে কোনও নির্বাচন হয়নি। বছরের পর বছর ধরে মনোনীত সদস্য দিয়েই গঠিত হয়ে চলেছে মাদ্রাসা বোর্ড। অভিযোগ, যার কারণে থমকে রয়েছে উন্নয়নমূলক কাজ। এই নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে , “এটা কি জমিদারি নাকি? না কি উত্তরাধিকার সূত্রে একাজ হয়ে চলেছে।” মাদ্রাসা বোর্ড এর নির্বাচন নিয়ে আদালত কেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে না?
তা বোর্ডের সেক্রেটারি ও প্রেসিডেন্টের কাছে তার জবাব তলব করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতির নির্দেশ, -‘ কেন নির্বাচন নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বর্তমান বোর্ডের সেক্রেটারি ও প্রেসিডেন্টকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে’। নাহলে অবিলম্বে এনিয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত।
মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, -‘ ১৯৯৪ সালে মাদ্রাসা বোর্ড গঠিত হওয়ার পর এই সংক্রান্ত আইনে স্পষ্ট বলা রয়েছে, একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর নির্বাচন করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু ২৯ বছর কেটে গেলেও একবারও নির্বাচন হয়নি। মনোনীত সদস্যদের দিয়েই চলছে বোর্ড’। বিষয়টি জানার পরই এজলাসে উপস্থিত রাজ্যের কৌঁসুলি টি এম সিদ্দিকির কাছে প্রধান বিচারপতি জানতে চান, কেন নির্বাচন হচ্ছে না? প্রধান বিচারপতির এই প্রশ্নের কোনও জবাব তিনি দিতে পারেননি।
রাজ্য। ২৯ বছরে নির্বাচন হয়নি মাদ্রাসা বোর্ডে জবাব তলব করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। মনোনীত সদস্যদের দিয়েই বছরের পর বছর গঠিত হয়ে চলেছে বোর্ড। এই মর্মে দায়ের হওয়া মামলায় রীতিমতো হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার।
বিষয়টি জানার পরই প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের মন্তব্য, ‘এটা কি জমিদারি নাকি? না কি উত্তরাধিকার সূত্রে একাজ হয়ে চলেছে?’ গত মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবী সৌমেন দত্ত সওয়ালে জানান , -‘ ১৯৯৪ সালে মাদ্রাসা বোর্ড গঠিত হওয়ার পর এই সংক্রান্ত আইনে স্পষ্ট বলা রয়েছে, একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর নির্বাচন করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু ২৯ বছরে একবারও নির্বাচন হয়নি, মনোনীত সদস্যদের দিয়েই চলছে বোর্ড’।
বিষয়টি জানার পরই এজলাসে উপস্থিত রাজ্যের কৌঁসুলি টি এম সিদ্দিকির কাছে প্রধান বিচারপতি জানতে চান, -‘ কেন নির্বাচন হচ্ছে না?’ এই প্রশ্নের কোনও জবাব দিতে পারেননি সিদ্দিকি।এরপরই ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, -‘ আদালত কেন নির্বাচনের নির্দেশ দেবে না?তা হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে রাজ্য কে । এখন দেখার রাজ্য কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে এই হলফনামা পেশে।