আইভি আদকঃ ” তোমায় হৃদ মাঝারে রাখবো যেতো দেবোনা, তাই তো সাত সমুদ্র তেরো নদী পার করে মেক্সিকো থেকে হাওড়ায় এলেন মেক্সিকান তরুণী লেসলি ডেলগাডো
ভালোবাসার টানে প্রেমিকের সাথে দেখা করতে সুদূর মেক্সিকো থেকে হাওড়ায় ছুটে এলেন প্রেমিকা।কয়েকদিনের মধ্যে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন যুগল।হাওড়ার বালি দুর্গাপুর সাহেববাগান এলাকার বাসিন্দা অরিজিৎ ভট্টাচার্য।
বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত।করোনার শুরুতে ওয়ার্ক ফর্ম হোম শুরু করেন।কাজের পাশাপাশি সময় কাটাতে সোশ্যাল মিডিয়া ছিল ভরসা।এখান থেকেই আলাপ হয় মেক্সিকোর বাসিন্দা লেসলি ডেলগাডো র সঙ্গে।দুজনেই প্রেমে পড়ে যায়।গভীর হয় সম্পর্ক।দেখা করার জন্য মন আকুল বিকুল করতে থাকে।কিন্তু উপায় নেই।
কোভিডের ঢেউ আছড়ে পড়ে সারা বিশ্বে।বন্ধ হয়ে যায় ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট।এরপর এবছর পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হতে সোজা মেক্সিকো থেকে হাওড়ায় আরিজিতের বাড়িতে কিছুদিন হাজির লেসলী।অরিজিৎ জানায় কথাবার্তা বলে তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
গত ১৯ জুন তাদের রেজিস্ট্রি হয়ে যায়।আগামী ৫ জুলাই সাত পাকে বাঁধা পড়বেন দুজনে।মজার ছলে অরিজিৎ জানায় করোনার না এলে তাদের আলাপ হতো না।আরিজিতের বাবা বিনায়ক ভট্টাচার্য অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মী।মা কাকলী ভট্টাচার্য গৃহবধূ।বিনায়ক বাবু জানান লেসলীর অত্যন্ত ভালো মেয়ে।সবাইকে আপন করে নিয়েছে।
সে ইংরেজি ও বাংলা শিখছে ভালোভাবে তাদের সাথে কথা বলার জন্য।অরিজিৎ স্প্যানিশ ভাষা শিখেছে লেসলী সাথে কথা বলার জন্য।অক্টোবর মাস পর্যন্ত হাওড়াতে থাকবে দুজনে।এরপর মেক্সিকো যাবে তারা।সেখানে সামাজিক অনুষ্ঠান হবে।তারপর ঠিক হবে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা।লেসলী জানায় বিয়ে নিয়ে প্রচন্ড এক্সাইটেড।তবে ভীষন খুশী অরিজিৎকে ভালোবেসে বিয়ে করতে পেরে।