পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ এ যেন এক বিস্ময় বালক। বুদ্ধিতে আইনস্টাইন বা নিউটনের চেয়ে এগিয়ে কি না– তা সময় বলবে। কিন্তু বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সুবর্ণ আইজ্যাক বারি আমরেকিার মাটিতে বসে যা করেছে তা শুনলে চোখ কপালে উঠবে অনেকেরই। আমেরিকার বিস্ময় বালক-এর খ্যাতি পেয়েছে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ এই অধ্যাপক। বয়স মাত্র ৯ বছর। বারি একাধারে গণিত- পর্দাথবজ্ঞিান, সন্ত্রাস-বিরোধী ক্যাম্পেনই এবং নিজের লেখা ‘দ্য লাভ’ গ্রন্থের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে চাইল্ড প্রডিজি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় বারিকে একজন অধ্যাপক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। সেখানে ক্লাস নেওয়ার একটি ভিডিও সামাজকি মাধ্যমে ইতিমধ্যে ভাইরাল। ছোট্ট সুবর্ণ বারিকে দেখে পড়ুয়ারা মুচকি হাসলেও বিষয়ের পাণ্ডিত্য মুগ্ধ বাধ্য হচ্ছে। ২০১২ সালে ৯ এপ্রিল জন্ম সুর্বণ আইজ্যাক বাররি। ৬ মাস বয়স থেকেই সে কথা বলতে শিখে গিয়েছিল।
২ বছর বয়স থেকেই গণিত পর্দাথবদ্যিা, রসায়নের সমস্যা সমাধান করতে পারত এই বাঙালি আমেরিকান শিশু। তার বাবা রাশিদুল বারি একজন গণিতজ্ঞ। শৈশব থেকে ছেলের এত প্রতিভা দেখে তারা ইউটউিব ভিডিও শুরু করেন। এরপর ‘সুবর্ণ বারি আইজ্যাক’ উপাধি পেতে দেরি হয়নি। পিএইচডি স্তরে গণিত- পর্দাথবজ্ঞিান ও রসায়নের সমস্যাগুলো সমাধান করতে সক্ষম হওয়ায় খুব অল্প বয়সেই বিশ্বে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। ভয়েস অব আমেরিকায় সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন এই শিশুটি। তার মেধাকে যাচাই করতে ৬টি বিশ্বিদ্যিালয়ের ৬ জন অধ্যাপক জ্যামিতি-বীজগণিত সহ রসায়নের জটিল বিষয়ের পরীক্ষা নিয়েছেন। ওয়াশিংটন ডিসির ফোবানায় কয়েক হাজার মানুষের সামনে সুবর্ণর পরীক্ষা নিয়েছিলেন এমআইটির অধ্যাপক ও নাসার বিজ্ঞানী ড. মিজান চৌধু্রী। ক্যালকুলেটর ছাড়া গণিতের জটিল সমস্যার সমাধান করেছিল সুর্বণ।
সুবর্ণ বলেছিল, ক্যালকুলেটের দরকার নেই। আমি কম্পিউটারের চেয়ে দ্রুত চিন্তা কর। এটা দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন ড. মিজান।
অক্সর্ফোড-সহ নানা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সুবর্ণের কাছে চিঠি এসেছে। এমনকী প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও তার প্রতভিা দেখে তাকে চিঠি দিয়েছিলেন মুম্বইয়ের একটি কলেজের ভিজিটিং প্রফেসর সুবর্ণ।