দেবশ্রী মজুমদার, শান্তিনিকেতন, অগাস্ট: বীরভূম জেলা প্রশাসনের তৎপরতায় দূর হলো ট্যাবু। মুক্ত হলো সামাজিক বয়কট। শান্তিনিকেতনের বালিপাড়ায় তিন আদিবাসী সম্প্রদায়ের পরিবার স্থানীয় স্কুলের চাবি চুরির অভিযোগ দোষী সাব্যস্ত করে প্রায় দু’বছর এক ঘরে করে রাখা হয়েছিল। মোড়ল নিদানে এই শাস্তির ঘোষণা করা হয়। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে বালিপাড়ার মোড়লও নির্যাতিত পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করা হয়। শ্রীনিকেতন ব্লকের যুগ্ম ব্লক আধিকারিক প্রীতম মন্ডল ও শান্তিনিকেতন থানার অফিসার ইনচার্জ সহ রুপপুর গ্রামের পঞ্চায়েত উপপ্রধান রন্দ্রেনাথ সরকারও উপস্থিত ছিলেন সেই বৈঠকে।
রবিবার সকাল বেলায় প্রশাসন আধিকারিকরা স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে মোড়লের সাথে আলাপ আলোচনা করা হয়। তারপর একটি মুচলেখা নেওয়া হয় মোড়ল সুনীল হাঁসদার কাছ থেকে। সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে গ্রামের মধ্যে নির্যাতিত কালিদাসী মারাণ্ডির পরিবারকে সমাজে সকলের সাথে মেলামেশা করতে দেওয়া হবে বা কোনো বাধা দেওয়া হবে না।
যুগ্ম ব্লক আধিকারিক প্রীতম মন্ডল জানান, সকল পক্ষের সাথে বৈঠক হয়। এছাড়া এধরণের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য প্রশাসন ও নিয়মিত নজরদারি চালাবে। নির্যাতিতা পরিবারের সদস্যদের কাছে সকল প্রশাসনের আধিকারিকদের যোগাযোগ নম্বর দেওয়া আছে। তারা চাইলে যখন খুশি যোগাযোগ করতে পারবে।
কালিদাসী মারাণ্ডি ও তার পরিবার প্রশাসনের উদ্যোগ সাধুবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এবার হয়তো তারা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবে। যদিও স্থানীয়দের একাংশ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কোনো সামাজিক বয়কট করা হয় নি। কালিদাসী মারাণ্ডি স্কুলের হোস্টেলে সেবিকার কাজ করে। পাড়ায় জল টল সবই নেয়।